ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও খাবেন না এই ওষুধ
একে ঋতু বদল, তার উপরে করোনার প্রকোপ। ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে সকলে গৃহবন্দী। চট করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উপায় নেই। তাই এখন কী করবেন, কী করবেন না— এই নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রইল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অসুখ হতে পারে ভেবে আগাম ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। তেমনই ওষুধ না খেয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথমত, করোনা আটকাতে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন নামে যে ওষুধ অনেকে খেতে চাইছে, তা একেবারেই উচিত নয়। এটা সকলের খাওয়ার জন্য নয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) বলছে, করোনা আক্রান্ত এবং শুধুমাত্র যাঁরা বিশেষ করে করোনা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জন্য এই ওষুধ।
যাঁরা কোভিড আক্রান্ত তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা কেবল চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে পারেন। রোগীর ডোজ ও পরিবারের লোকদের ডোজ আলাদা হবে।
এই ওষুধ কোভিড পজ়িটিভ হওয়া থেকে আটকায় না। এই ওষুধ খেলে করোনা হবে না— এমন ধারণা ভুল। অসুখ না হওয়ার জন্য জোর দিতে হবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, লকডাউন মেনে চলা, হাত বারবার সাবান জলে ধোয়া, স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করা ইত্যাদিতে।
চিকিৎসা পরিষেবায় যাঁরা যুক্ত তাঁরাও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেবেন আগে। তার পরে ওই ওষুধ নেবেন, যাঁরা হাই রিস্কে রয়েছেন। এই ওষুধ শরীরে রোগের তীব্রতা কমাবে। শরীরে ভাইরাল লোড কমবে।
এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। হৃদযন্ত্রে উপর প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার জেরে বিপদ বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তাই ওই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
আর্থারাইটিস, ম্যালেরিয়া, লুপাস জাতীয় রোগ, যা থেকে কিডনি, ফুসফুসের অসুখ হতে পারে, সেই রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন খেতে পারেন।
সাধারণ লোক যদি ইচ্ছেমতো খেতে থাকে ওষুধের সঙ্কট হবে। তাতে করোনা রোগী, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা পাবেন না। যেমন সঙ্কটে আমেরিকা ওষুধ চাইছে।