ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করতে গিয়ে আটকে পড়ে বিপাকে বাংলার রোগীরা
হোটেলের ভাড়া বাকি থাকলে সহানুভুতির সঙ্গে দেখার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কে শুনছেন মোদীর সেই কথা! চিকিৎসার প্রয়োজনে বেঙ্গালুরু বা ভেলোরে হোটেলবন্দি মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়ার শতাধিক রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের অভিজ্ঞতা অন্তত অন্য রকম। অপারেশন বা চেকআপ শেষ হলেও লকডাউনের জেরে ফেরার ট্রেন বাতিল হওয়ায় এখনও অনেকে হোটেলবন্দি। এ দিকে হিসেবের কড়িও শেষ। তার সঙ্গে জুটেছে বকেয়া ভাড়ার জন্য হোটেল মালিকদের নিত্যদিনের চাপ।
সমাধানের আশায় রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রশাসনের কর্তাদের ফোন করলেও সাহায্য এখনও মেলেনি। বেঙ্গালুরুর কাঠগুড়ি থানার সাগর গেস্ট হাউসে বর্তমানে আটকে রয়েছেন এ রাজ্যের ৭২ জন। বাঙালি খানা আর বাঙালি ঘরানার লোভে এ রাজ্যের বেশিরভাগ রোগীর পরিবার বেঙ্গালুরুর কাদুগরি, হোয়াইট ফিল্ড, কড়িহাল্লি, বানারঘাটা রোড, ইলেকট্রনিক সিটি, এলাকার হোটেলে থাকেন। সেখান থেকেই তাঁরা সাঁইবাবা হাসপাতাল, বৈদেহি মেডিক্যাল কলেজ, মণিপাল, সেন্ট জন্স হাসপাতালে চিকিৎসা করান। গ্যাস, বাসনপত্র ভাড়া নিয়ে চাল-ডাল-সব্জি কিনে রান্না করেন অনেকে। ফলে হোটেলের দৈনিক ভাড়া ছাড়াও খাবার জল ও গ্যাস ভাড়া বকেয়া রয়েছে অনেকের।
যদিও এ রাজ্যের মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে বেঙ্গালুরুর ‘বঙ্গীয় সমাজ’ স্থানীয় থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে হোটেল মালিকদের ভাড়ার জন্য চাপ দিতে নিষেধ করেছেন। তবু কে শুনছে সেই ফরমান।