করোনার সচেতনতা প্রচারে রাস্তায় তৃণমূল নেতারা
দিন দশেক আগে চতুর্থ দফায় সম্পন্ন হয়েছে জলপাইগুড়ির সাতটি বিধানসভার ভোটপর্ব। এখন অপেক্ষা ভোট গণনার। কিন্তু, এর মধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো করোনা ভাইরাস এখানেও মারাত্মকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। বাড়ছে কোভিড (covid 19) পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। তাই এবার করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ময়দানে নেমেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। জেলার মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই নানা কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে নানাভাবে প্রচার শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা, ব্লক, অঞ্চল স্তরের নেতারা মানুষকে সচেতন করতে শুরু করেছেন। একইসঙ্গে যাঁরা সংক্রামিত, তাঁদেরও যাতে কোভিড পরবর্তী পরিষেবা পেতে অসুবিধা না হয়, তারজন্য কাজ শুরু হয়েছে। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি সহ সুরক্ষার নানা বিষয়ে মাইকিং করার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, আমরা জেলার সব ব্লক সভাপতিকে বলেছি বিভিন্নভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে। একইসঙ্গে যাঁরা করোনা সন্দেহভাজন অর্থাৎ যাঁদের টেস্ট হয়েছে, কিন্তু রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি, তাঁরা যাতে হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকেন, তাঁরা যাতে রাস্তায় না বের হন সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে টোটোয় চেপে মাইকিং করে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য ঘোষণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমাদের সদর বিধানসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা পরিবেশপ্রেমী স্বরূপ মণ্ডল এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। জেলায় দলের প্রার্থীদের মধ্যে জলপাইগুড়ি বিধানসভার প্রার্থী ডাঃ প্রদীপকুমার বর্মা অসুস্থ। যাঁরা সুস্থ, তাঁরা মানুষকে নিজেদের উদ্যোগে সচেতন করতে নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন। দলের উদ্যোগে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হচ্ছে।
ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী মিতালী রায় বলেন, আমি অসুস্থ, তাই কয়েকদিন বাইরে বেরতে পারছি না। কিন্তু, আমাদের অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা মানুষকে কোভিড নিয়ে সচেতন করতে নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। তৃণমূলের ময়নাগুড়ির প্রার্থী মনোজ রায় বলেন, আমরা এলাকার বাসিন্দাদের ও আমাদের কর্মীদের বলছি, করোনা পরিস্থিতিতে যেন প্রশাসনের নির্দেশিকা মতো চলেন। তাঁদের যেন সহযোগিতা করেন। আমাদের দলের লোকেদেরও বলা হয়েছে, তাঁরা যেন নিজের পাড়ায়, এলাকায় প্রত্যেককে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন।
রাজগঞ্জের প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, সোমবার পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক ছিল। সেখানে ঠিক হয়েছে, কোভিড বিধি নিয়ে প্রশাসন কয়েকদিন প্রচার চালাবে, তারপরও যদি মানুষ মাস্ক না পরে, দূরত্ব বিধি বজায় না রাখে, সেসব ক্ষেত্রে পুলিস প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আমরাও দলের তরফে মানুষের কাছে আবেদন রেখেছি, যাতে সকলেই পুলিসকে সহযোগিতা করেন। সুরক্ষা বিধি মেনে চলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের কী করা উচিত, কী নয় সেই ব্যাপারে বলা হচ্ছে। আমরা আশা করছি ক্রমাগত প্রচারে মানুষ সচেতন হবে।