করোনা আক্রান্তদের পাশে দাড়াঁলেন একঝাঁক সেলেব
নেই অক্সিজেন। হাসপাতালে বেডের হাহাকার। এই মুহূর্তে গোটা দেশ জুড়ে চিত্রটা ঠিক এমনই। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকই। তবে নেটনাগরিকরা এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন ভূমিকা পালন করছেন। তৈরি হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেখানে প্রতিনিয়ত কোন হাসপাতালে বেড খালি হল, কোথায় গেলে মিলবে অক্সিজেন, সব আপডেট আসছে। রক্তের হাহাকারও দেখা দিয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য দরকার প্লাজমা।
এহেন সঙ্কটে সাধারণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন বলি-টলি তারকারা। তাঁরাও তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ক্রমাগত আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ একখানা বেড কিংবা অক্সিজেন চেয়ে পোস্ট করলে, সেই পোস্ট শেয়ার করছেন। অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে এতদিন নেটনাগরিকরা ট্রোল করে এসেছেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি কিন্তু ট্যুইটারে ক্রমাগত কোথায় বেড খালি হয়েছে, কার রক্ত লাগবে সেই বিষয়ে আপডেট দিচ্ছেন। আলিয়া একা নন, এই কাজ করছেন বলিউডের একাধিক সেলেব। রয়েছেন সঞ্জনা সংঘি, ফারহান আখতার, শেফালী শাহ, অপারশক্তি খুরানা, বরুণ ধাওয়ান, মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, ভূমি পেডনেকর প্রমুখ। কেউ শেখাচ্ছেন সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে তো কেউ আবার প্লাজমা দানে যে কোনও আশঙ্কা নেই সেকথা বুঝিয়ে বলছেন। আলাদা করে বলতেই হবে আদিল হুসেন, তাপসী পান্নু, অনুরাগ কাশ্যপ, সোনু সুদের কথা। একেবারে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। কেউ ট্যুইট করে সাহায্য চাইলেই, তাঁদের যাতে কোনওভাবে সাহায্য করা যায় সেই চেষ্টা করছেন এঁরা।
এই সমস্ত তারকারা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মূলত নিজেদের কাজের প্রচার করে থাকেন। সেই সবকিছু বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে নেট নাগরিকরা কুর্ণিশ করছেন।
পিছিয়ে নেই টলিউডও। প্রথমেই বলতে হবে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কথা। তিনি কার্যত সব কাজ ছেড়ে, এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতাল ও অক্সিজেনের আপডেট দিচ্ছেন। একই কাজ করছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, বিরসা দাশগুপ্ত, সাংসদ দেব ও অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে রাজ্যে আসন্ন রক্তের ঘাটতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রক্তদান করেছেন। যখন দায়িত্বশীল অভিনেত্রী-সাংসদরা অন্য দলকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত, সেই সময় কাজ করতে চেয়ে রাজনীতিতে না আসা মানুষরাই কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।