রাজ্যে করোনার পরীক্ষায় পরিবর্তন
এত দিন শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি কিংবা কোয়ারান্টিন সেন্টারে থাকা ব্যক্তিদের উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা হত। হটস্পট বা মাইক্রো-প্ল্যানিং এক্সারসাইজের অঙ্গ হিসেবে এ বার সেই নিয়ম বদলাল রাজ্য সরকার। কনটেইনমেন্ট প্ল্যানকে আরও পোক্ত করতে সরকারি বিজ্ঞপ্তির যে সংযোজনী বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর, তাতে ক্লাস্টার এলাকার যে কোনও সন্দেহভাজনের (অর্থাৎ উপসর্গবিহীন ব্যক্তিদেরও) পরীক্ষাই করাতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন।
কেউ যদি কোনও করোনা আক্রান্তের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসেন অথবা বয়স ও শারীরিক কারণে ঝুঁকি আছে বলে মনে হয় প্রশাসনের, তাঁরই করোনা-পরীক্ষা করতে পারবে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘সে কাজের জন্য প্রয়োজনে একসঙ্গে অনেক লোকের নমুনা নিয়ে পুল টেস্টিং করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে।’
বুধবার কেন্দ্র দেশের যে ১৭০টি জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তার মধ্যে আছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের নাম। কেন্দ্রের খাতায় কেন ‘রেড জোন’ হিসেবে নাম উঠেছে এই চার জেলার? এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য একই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কাজ করছে। বার বার করোনার কেস আসছে, এমন চারটি জেলাকে ওরা চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট শুরু করতে বলেছে। আমরা ওই সব জেলার সঙ্গেই আরও অন্যান্য জায়গা, যেখানে মনে হয়েছে সংক্রমণ ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো দরকার, সেখানেও মাইক্রো-প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে কড়াকড়ি শুরু করেছি।’
ওই সাংবাদিক বৈঠকে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান, প্রবীণ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় এর বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রেড জোনে থাকা মানে, চার দিনের মধ্যে যেখানে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। এর পরে রয়েছে অরেঞ্জ জোন, তার পর গ্রিন জোন। কোনও একটি এলাকায় ২৮ দিন যদি একটিও নতুন সংক্রমণের খবর না-মেলে, তখন সেই এলাকাকে গ্রিন জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমাদের লক্ষ্য, রেড জোনকে গ্রিন জোনে নিয়ে যাওয়া।’