তৃণমূলকে শুভেচ্ছাবার্তা শিল্পের, সহযোগিতার আশ্বাস
প্রথম ধাক্কার ক্ষত শুকোনোর আগেই দ্বিতীয় বার কামড় বসিয়েছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের এই জয়কে স্বাগত জানিয়ে আর্থিক উন্নয়নে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিল বণিকসভাগুলি। সেই সঙ্গে বার্তা, সংক্রমণ আটকানোর পরিকল্পনায় শিল্প ও কর্মসংস্থান যাতে যতটা সম্ভব কম ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেটা লক্ষ্য রাখুক সরকার। আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হোক। কোমর বেঁধে নামা হোক রাজ্যে বড় শিল্পের লগ্নি টানতে।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের দাবি, শিল্প ও লগ্নিকারীকে সব সময়ই স্বস্তি দেয় স্থায়ী এবং মজবুত সরকার। কারণ, তাতে সরকারি স্তরে মতানৈক্যের আশঙ্কা কমে। কম থাকে বিনিয়োগের ঝুঁকি। লম্বা মেয়াদে সেই বিনিয়োগের কৌশল তৈরিও সহজ হয়। পশ্চিমবঙ্গে সিআইআইয়ের চেয়ারম্যান পীযূষ গুপ্ত রাজ্যে লগ্নি এবং কাজ তৈরির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। বণিকসভাটির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাষেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের আশা, রাজ্যে দ্রুত আর্থিক সংস্কারের অভিমুখ স্থির করবে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তাঁর দাবি, অতিমারিজনিত সঙ্কট কাটাতে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সরকারি পরিষেবা জোগানে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে জোর দেওয়া জরুরি।
আর এক বণিকসভা ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রমেশ কুমার সারাওগির কথায়, ‘‘টানা তিনটি নির্বাচনে রাজ্যবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বেই ভরসা রেখেছেন। এই দফায় প্রতিবেশী দেশগুলিতে লগ্নি ও বাণিজ্যের সুযোগ এবং পরিধি বাড়ানো হোক। ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি বাড়তি গুরুত্ব পাক বড় শিল্পও।’’
পাশাপাশি বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট দেব এ মুখোপাধ্যায়ের আশা, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য নিশ্চয়ই এমন পরিকল্পনা করবে যা কাজ-কারবার এবং কর্মসংস্থানে ন্যূনতম প্রভাব ফেলবে। ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য আরও লগ্নি সহায়ক পরিবেশের সওয়ালও করেন তিনি। বলেন, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগসূত্র বাড়াতে জাতীয় স্তরে যে পদক্ষেপ হচ্ছে, তার সঙ্গে যেন সামঞ্জস্য রেখে এগোয় রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে মার্চেন্ট চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আকাশ শাহ রাজ্যে নতুন সংস্কার এবং বৃদ্ধির পথ দেখার আশা প্রকাশ করেছেন।