কড়া প্রশাসন, কলকাতার একাধিক এলাকা সিল
সারা দেশের প্রায় ৭০০টি জেলার মধ্যে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে ১৭০টি জেলাকে চিহ্নিত করে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, করোনার সংক্রমণ এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে নির্দিষ্ট করে জেলাগুলির তালিকা না দেওয়া হলেও কলকাতা-সহ দেশের ছ’টি মেট্রো-সিটি করোনার হটস্পট। এই হটস্পটগুলিতেই রয়েছে মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশ।
আর এরপরই শুক্রবার দুপুরে সিল করে দেওয়া হল কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গা। রাজাবাজার, মানিকতলা, নারকেলডাঙা- সহ কাঁকুড়গাছি সিল করা হল।
এইসব এলকার প্রবেশপথ সম্পূর্ণভাবে আটকে দেয় পুলিশ। এমনকী পাড়ার অলিগলিতে ঢুকতে বা বেরোতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় বাজার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভিড় কমাতে বিধাননগরের তিনটি বাজার ৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে, এ দিন থেকে সেইসব বাজার বন্ধ থাকছে। জগৎপুর বাজার, জ্যাংরা বাজারও বন্ধ রাখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতায় করোনা নিয়ন্ত্রণে বস্তি, লেবার কোয়ার্টার, রেল ঝুপড়ির মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সমীক্ষায় উদ্যোগী হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে পুরভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এলাকায় নিয়মিত সাফাই ও জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েগিয়েছে।
উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙা বস্তিতেও পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা তথ্য সংগ্রহে যান। করোনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বসেছে স্যানিটাইজেশন ট্যানেল। পাটুলি ও রামগড় বাজারে বসানো এই টানেলে প্রবেশ করলেই সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের বাষ্পে জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবেন প্রত্যেকে। ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের উদ্যোগে এলাকার বাজারগুলিতে নাগরিকদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।