দেশ বিভাগে ফিরে যান

করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রকে ফের তুলোধোনা সুপ্রিম কোর্টের

May 6, 2021 | 2 min read

অক্সিজেনের (Oxygen)অভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। হাসপাতালে মিলছে না উপযুক্ত বেড। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন আর ওষুধের টানাটানি। করোনাকে কেন্দ্র করে দেশে যে হাহাকারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা কি ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি’ নয়? বুধবার এই প্রশ্ন ছুঁড়ে আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যর্থ মোদি সরকারকে ফের তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসারকে দাঁড় করিয়ে অক্সিজেন ইস্যুতে জবাবদিহি চাইল বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহর বেঞ্চ। যদিও সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্ট যে আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট তা আপাতত স্থগিত করে দিয়েছে।


আগামী সোমবার করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি রয়েছে। কিন্তু তার আগে দিল্লি হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (HMO) অফিসারদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিসের নির্দেশ দিতেই তাতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মোদি সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এমত পরিস্থিতিতে অফিসারদের জেলবন্দি করলে কোনও কাজ হবে না। মানুষের প্রাণ রক্ষাই এখন প্রধান কর্তব্য। তা‌ই আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ ঩জারি করা হল। 


তবে রাজধানীতে অক্সিজেনের সরবরাহ নিয়ে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। এতবার বলা সত্ত্বেও কেন দিনে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পাচ্ছে না দিল্লি? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোদি সরকারকে এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ফের এই মামলার শুনানি হবে। তার মধ্যেই কেন্দ্রকে জানাতে হবে, অক্সিজেন কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে যাচ্ছে, কীভাবে তা রাখা হচ্ছে ইত্যাদি। এদিনের শুনানিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘দেশে অক্সিজেনের অভাব নেই। কিন্তু তা ভরার মতো খালি কন্টেইনার নেই। তাই সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছি।’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানিতে বলেন, রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য একটি নিয়ম করা হয়েছে। তবে হতে পারে, তারপরেও সিস্টেমে কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে।   


যদিও দিল্লিতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা কেন্দ্রকে করে দিতে হবেই বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা তো দেখছি অসহায় মানুষ হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে অক্সিজেনের জন্য কাঁদছে। তাদের কী জবাব দেব? নাগরিকদের কাছে সরকার এ ব্যাপারে জবাবদিহি করতে দায়বদ্ধ। আমরাও ফোন পাচ্ছি। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। সাধারণ মানুষ কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সহজেই অনুমেয়!’ 


দিল্লি হাইকোর্টও এদিন একইসঙ্গে কেন্দ্র এবং কেজরিওয়াল, দুই সরকারকেই অতিরিক্ত অক্সিজেন মজুত রাখার দ্রুত বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের লাগাতার সমালোচনার জেরে রাতারাতি নয়াদিল্লির এইমস এবং কেন্দ্রীয় সরকারি রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পিএম কেয়ার্সের টাকায় দু’টি উচ্চ প্রবাহ সম্পন্ন অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়েছে। কোয়েম্বাটুর থেকে বিশেষ বিমানে তা উড়িয়ে আনা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#central Govt, #Home Ministry, #India Fights Corona, #supreme court

আরো দেখুন