‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান এখন বাস্তব, মত রূপঙ্করের
‘বাংলায় যাঁর মাটির টান, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-কৃষির মান। যাঁর হাত ধরে এক দশক, উন্নয়নের এই ধারায়’—গানের সুরে এই কথাগুলি সারা বাংলা শুনেছে রূপঙ্করের (Rupankar Bagchi) গলায়। তা যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একুশের ভোটযুদ্ধে তৃণমূলের প্রচার স্লোগান ছিল, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।’ (Bangla Nijer Meyekei Chay) আর এই স্লোগানকে গানের সুরে ঢেলে দেওয়া রূপঙ্কর বলছেন, ‘এটা মানবিকতার জয়।’
একুশের ভোট যুদ্ধের মহাসংগ্রাম শুরুর আগে তৃণমূল লক্ষ্য ছিল, যে কোনওভাবে বাংলাকে রক্ষা করতে হবে। সারা দেশ তাঁকিয়ে ছিল বাংলার নির্বাচনের দিকে। আর এই পরিসরে তৃণমূল স্লোগান তুলেছিল, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।’ ২০ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় ভোটযুদ্ধের এই স্লোগান। বাংলার মানুষও গ্রহণ করে নেন এই স্লোগানকে। নিজের মেয়ের হাতেই যে বাংলা সুরক্ষিত, শহর কলকাতা থেকে গ্রাম বাংলার আপামর মানুষ মনে প্রাণে গেঁথে নিয়েছিলেন তা। পরবর্তীতে সেই স্লোগানকে সামনে রেখে গান বাঁধে তৃণমূল। তুমুল জনপ্রিয় হয় সে গান। ১৫ মার্চ প্রকাশিত হয় তৃণমূলের ভোটযুদ্ধের প্রচারমূলক গান। যেখানে সংগীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচি গেয়েছেন, ‘বিশ্বাস করি এক কথায়, তাই তো সকলে দিচ্ছি সায়, যে বোঝে মাটিকে, যে বোঝে সব, এই বাংলার যে গৌরব।’ রূপঙ্করের কন্ঠে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ গান বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ফেসবুক, ইউটিউবে তা ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইলের রিংটোন, কলার টিউন হয়ে ছড়িয়ে যায় গোটা বাংলায়।
স্বভাবতই শিল্পী বেশ খুশি। আরও খুশি, তিনি যাঁকে উদ্দেশ্য করে গেয়েছেন, তিনি হ্যাটট্রিক করায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর রূপঙ্কর বললেন, দিদি মুখ্যমন্ত্রী হলেন এটা খুব আনন্দের বিষয়। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বলছি না, দিদির এই জয় মানবিকতার জয় হয়েছে বলে মনে করি। মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে অত্যন্ত নিবিড় সেটাও উঠে এসেছে রূপঙ্করের কথায়। জানালেন, দিদিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করি। অনেক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আগে সাক্ষাৎ করেছি, তাঁদের নাম বলছি না কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর বুঝতে পেরেছি, তিনি খুব সহজ-সরল। সকলের সঙ্গে মিশে যান। শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে রূপঙ্কর প্রত্যক্ষ করেছেন বাংলার উন্নয়ন। ‘দিদি’ ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায়, রাজ্যের আরও উন্নতি হবে, এমনটাই প্রত্যাশা রাখেন শিল্পী।