রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনা মোকাবিলায় র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টই একমাত্র উপায়

April 18, 2020 | < 1 min read

নভেল করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে আপাতত তিনিটি ধাপ হাতিয়ার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। পরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, পৃথকীকরণ। কেরলে ‘বন্ধু ক্লিনিক’ করোনার দাপট ঠেকানোয় সাফল্য এসেছে। তামিলনাড়ুতে চালু হয়েছে মোবাইল টেস্টিং ভ্যান। বিশেষজ্ঞদের মতে যতো বেশি টেস্ট ততো কম সংক্রমন। তাই র্যাহপিড অ্যান্টি বডি টেস্টই একমাত্র উপায়।

এই পথেই এগোচ্ছে বাংলা। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে উপসর্গ না থাকলেও করোনার টেস্ট হবে। হটস্পট এলাকায় লালা রসের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। কারণ, অ্যাসিম্পটোম্যাটিক কোভিড রোগীই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্য করোনা মোকাবিলা কমিটির সদস্য ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে এ রাজ্যে সংক্রমিত জায়গাকে চিহ্নিত করে টেস্ট শুরু হয়েছে। এসএসকেএম, মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্যাথল্যাবকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

টেস্টের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, ডাক্তাররা। এরপর যাদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মত অসুখ (আইএলআই) এবং শ্বাসকষ্ট (সারি) এর উপসর্গ আছে তাদের টেস্ট হবে। তারপর টেস্টের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে অ্যাসিম্পটোম্যাটিক লোকেদের। কলকাতার এক প্রথম সারির সার্জেনের মতে, “পিপিই, গ্লোভস এবং মাস্ক সংগ্রহে বাংলা দুর্দান্ত কাজ করেছে। এবার টেস্টিং আরও বেশি পরিমাণে হলে আমরা অন্যদের সামনে নাক উঁচু করে ঘুরতে পারবো।”

উল্লেখ্য, মার্চ অবধি শুধুমাত্র বিদেশ ফেরতদেরই টেস্ট করানো হত। কিন্তু বিদেশি যোগ নেই এমন ব্যক্তিরও সংক্রমন ঘটায় এখন উপসর্গ দেখলেই টেস্ট করার নির্দেশ রয়েছে। সারা দেশেই রিয়েল টাইম পলিমেরিশ চেইন রিঅ্যাকশান টেস্টও চলছে। কিন্তু এই টেস্টে সময়, খরচ দুইই লাগে বেশি। তাই সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এদেশেও র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #lock down, #rapid test kits, #India

আরো দেখুন