ঘর ওয়াপসি! বিজেপি থেকে তৃণমূলের ফেরার হিড়িক কেশিয়াড়িতে
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩ ও তৃণমূল ১২টি আসনে জয়ী হয়েছিল

বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর কেশিয়াড়িতে (Keshiary) বিজেপির (BJP) জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে দল বদলের হিড়িক পড়েছে। বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা দলে দলে কার্যত তৃণমূলে (Trinamool) যোগ দিচ্ছেন। এর ফলে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেওয়া তৃণমূলের কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূলের দাবি, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যরাও তৃণমূলে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন। খুব শীঘ্রই বেশ কয়েকটা পঞ্চায়েতও তাদের দখলে চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩ ও তৃণমূল ১২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু আজও পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হয়নি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় তৃণমূল। এরপরই শাসক দলে যোগ দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে দলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।
বিজেপির টিকিটে জয়ী সদস্য মনসা সিং, সুচিত্রা নায়েক, নমিতা দোলই তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই আমরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি। শুক্রবারও পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কল্পনা শেঠি বলেন, কয়েকটি পঞ্চায়েতের প্রধান সহ সদস্যরা আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন। বিজেপির আরও সদস্য দলে আসবেন।
অজিতবাবু বলেন, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমরা প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে বলেছি। খুব শীঘ্রই তৃণমূল এই পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করবে।
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি বলেন, জোর করে ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের সদস্যদের তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদি তাঁরা স্বেচ্ছায় যাবেন, তাহলে আগে গেলেন না কেন? সারা জেলাজুড়ে যে অত্যাচার হচ্ছে, কেশিয়াড়ি ব্যতিক্রম নয়। দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া তারই প্রতিফলন।