বাংলার নির্বাচনের ফলাফল দেশে ইতিহাস গড়েছে, দাবি মমতার
বাংলার মানুষের ঐতিহাসিক রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রের তরফে উসকানিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে। বাংলায় দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিধানসভায় পা রেখেই কেন্দ্র সরকার তথা বিজেপিকে একযোগে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে যে ঐতিহাসিক জনমত দিয়েছে, তা মেনে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। তাই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে, হিংসা ছড়িয়ে বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। মমতার দাবি, নির্বাচন কমিশন সঙ্গ না দিলে বঙ্গে ৩০ আসনও পেত না গেরুয়া শিবির।
মমতার দাবি, এবারের নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের বিধায়করা গড়ে ৩১ হাজার ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা কোনও দিন কোনও বিধানসভায় হয়নি। মানুষের সম্পূর্ণ সহযোগিতা না পেলে কখনও এটা হতে পারে না। এই ইতিহাস। এই ইতিহাসের জন্য বাংলার মা-বোনেদের আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছাত্র-যুবদেরও। তাঁর দাবি, বাংলার এই জনমত বিজেপির সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভায় প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে শনিবার বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচন বয়কট করেছিল বিজেপি। যা নিয়ে এবার গেরুয়া শিবিরকে তীব্র স্বরে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষ বিজেপিকে বয়কট করেছে। তাই এখন বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে তারা। মমতার কথায়,”ওরা আজকের বিধানসভা বয়কট করল। আমাদের শপথে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, সেটাও বয়কট করল। আসলে বাংলার মানুষ ওদের বয়কট করেছে। মানুষের ঐতিহাসিক রায় ওঁরা মেনে নিতে পারছে না। এর আগে বহু বছরের ইতিহাসে কোনও দল এত বড় জয় পায়নি। তাই মেনে নিতে না পেরে সব বয়কট করছে।”
মমতার দাবি, বিজেপি যে ৭৭ আসন জিতেছে, সেটাও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মদতে। কমিশন সাহায্য না করলে ৩০ আসনও তাঁরা পেত না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমরা তো জানি কী করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নামে কী পরিমাণ অত্যাচার করেছে। নির্বাচন কমিশন সাহায্য না করলে ৩০ আসনও পেত না।”