বাংলায় কৈলাশের জায়গায় তরুণ চুঘ? জল্পনা তুঙ্গে
নীল বাড়ির লড়াইয়ে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপি-র। মুখে কেউ স্বীকার না করলেও ছন্নছাড়া রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই সময়ে রাজ্যে নেই বাংলায় বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য সফরে আসা সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেই দিল্লি চলে গিয়েছেন শিবপ্রকাশ। নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে চলে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিজয়বর্গীয়ও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতাদের ‘অভিভাবক’ হিসেবে বাংলায় এসেছেন আর এক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পঞ্জাবের তরুণ চুঘ।
ইতিমধ্যেই কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক সেরেছেন তরুণ। কথা বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। তবে কি কৈলাসের জায়গায় তরুণই রাজ্য বিজেপি-র পরবর্তী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাবেন? এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন রাজ্য নেতারাও। তবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি অনেকের।
ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি-তে পারস্পরিক দোষারোপের পালা শুরু হয়ে যায়। দলের অন্দরে অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও প্রকাশ্যে সরব প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। তিনি সরাসরি শিবপ্রকাশ, কৈলাস ছাড়াও কাঠগড়ায় তুলেছেন সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এমনই পরিস্থিতিতে রাজ্যে তরুণের উপস্থিতি। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু টুইট করেছেন, ‘রাজ্যে ভোট পরর্বর্তী হিংসা, মহিলাদের উপরে নির্যাতন ও ধর্ষণের পরিস্থিতি দেখতে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ বাংলায় এসেছেন’।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণ মূলত পঞ্জাবের নেতা। প্রথমে আরএসএস এবং পরে এবিভিপি-র দায়িত্ব পালন করা তরুণ রাজনীতিতে আসেন ১৯৯৪ সালে। গত বছর সেপ্টেম্বরে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। এখন তাঁর উপরে তেলঙ্গানা, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব রয়েছে। দলে বড় দায়িত্ব সামলালেও নির্বাচনে কখনও সাফল্য পাননি। অমৃতসর সেন্ট্রাল বিধানসভা আসনে ২০১২ ও ২০১৭ সালে পরাজিত হন তিনি।