মমতার হাতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, খুশি সাধারণ মানুষ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ইতিবাচক ও ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন উত্তরবঙ্গের নেতারা। একইসঙ্গে তাঁরা উচ্ছ্বসিত। প্রসঙ্গত, এরআগে গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই দপ্তর সামলেছেন। এবার এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রাখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা থেকে ওয়াকিবহাল মহল।
স্বাধীনতার পর থেকে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে কোনও সরকারই সেভাবে নজর দেয়নি বলে অভিযোগ। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর সেই চিত্র বদলাতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার উত্তরবঙ্গে এসেছেন, এতবার রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসেননি। মমতা শুধু আসেননি, প্রশাসনিক কাজের তদারকির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, পর্যটন সহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ঘটনাচক্রে এর আগে যাঁরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা এবার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মালদহের সাবিনা ইয়াসমিন। অনেকেই মনে করছেন, এই দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকলে উন্নয়নের কাজে আরও নতুন সংযোজন ঘটবে, উপকৃত হবেন উত্তরবঙ্গের মানুষ।
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। তাছাড়া স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তা, আলো, থানার সংখ্যা বাড়ানো, নতুন কমিশনারেট চালুর মতো বহু কাজ হয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের নেতারাই শুধু নই, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে এই দপ্তর রাখাই উত্তরবঙ্গের মানুষ উচ্ছ্বসিত। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এতে উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে আমরা গর্ববোধ করছি। গৌতমবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই গুরুত্ব সহকারে উত্তরবঙ্গকে দেখেন। এবার এই দপ্তর নিজের দায়িত্বে রেখে তিনি উত্তরবঙ্গকে আরও ভালো বার্তা দিতে চেয়েছেন।