অমিত মিত্রের চিঠির জের, জিএসটি বৈঠক ডাকলেন নির্মলা
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্রের কড়া চিঠিতেই টনক নড়ল কেন্দ্রের। তড়িঘড়ি ডাকা হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। প্রায় আট মাস বাদে ২৮ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা আয়োজিত হবে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই বৈঠকের অন্যতম অ্যাজেন্ডাই হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থাপিত দু’টি ইস্যু। এক, রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি মেটানো। দুই, ভ্যাকসিন সহ কোভিড চিকিৎসার উপকরণ তথা ওষুধে জিএসটি মকুবের দাবি। মমতার প্রস্তাবকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বৈঠকে এই দাবি তুলবে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলি।
এটি জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩তম বৈঠক। সাত মাসেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ায় এবারের বৈঠক যথেষ্ট সংঘাতপূর্ণ হতে চলেছে বলেই পূর্বাভাস। অর্থদপ্তরের হিসেব বলছে, জিএসটি খাতে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা। বিগত আর্থিক বছরে রাজ্যগুলিকে ৭০ হাজার কোটি টাকা জিএসটি ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্য এখনও অন্তত ৬৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যগুলির। তার উপর কোভিডের চাপ।
আগামী বৈঠকে তাই দু’টি ইস্যুতেই কেন্দ্র বনাম রাজ্য সংঘাত তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা। প্রথমত, সিংহভাগ রাজ্যই চাপ দেবে, অবিলম্বে বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দিক কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস রাজ্যগুলিকে দেওয়ার কথা। করোনার আঘাতে তাদের যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে ওই ক্ষতিপূরণ সেস প্রদানের সময়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে। রাজ্যগুলিকে দেওয়া কয়েকটি প্রস্তাবের মধ্যে এই সুপারিশ করেছিল অর্থমন্ত্রকও। কিন্তু ওই আলোচনার সময় করোনার এই দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ আসেনি। তাই আগামী ২৮ মে বৈঠকেই এই সেস প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি হল, ভ্যাকসিন, করোনার ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের উপর থেকে জিএসটি মকুবের দাবি। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে ভ্যাকসিন, অক্সিজেন, ওষুধের জিএসটি শূন্য করার দাবি তুলবেন, যাতে কোভিড চিকিৎসাকে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনা যায়।