রাস্তায় দেখতে পেলেই তাড়া পুলিশের, ড্রোনে খুঁজে গ্রেপ্তার
চরম উদ্বেগ জানিয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘হাওড়াতেও রেড অ্যালার্ট করা হয়েছে।’ এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর উৎকণ্ঠা কমাতে রাস্তায় কোমর কষে নেমে পড়ল হাওড়া সিটি পুলিশ।
করোনাভাইরাসে দাপট এখনও সব থেকে বেশি উত্তর হাওড়ার সালকিয়ায়। শনিবার তাই সালকিয়াকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল সিটি পুলিশকর্মীদের। এক দিকে গোলাবাড়ি থানা, অন্য দিকে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ শুক্রবার বিকেল থেকে আরও জোরদার করে নাকা তল্লাশি। রাস্তায় কাউকে দেখলেই তাঁর পিছু দৌড়ে যান পুলিশকর্মীরা। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়।
উত্তর হাওড়ার যে সব ওয়ার্ডে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, সে সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যাতে বাইরে বেরোতে না হয়, তার জন্য বাড়ি বাড়ি সব্জি ও অন্যান্য নিত্যপণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু আগেই শুরু করেছে হাওড়া পুর নিগম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এ দিন আর সালকিয়ার হরগঞ্জ বাজার, ধর্মতলা বাজার খোলা হয়নি।
হাওড়া শহরের বাজারগুলিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখার নির্দশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন বাজার কমিটি এবং বণিকসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে এ দিন বৈঠক করেন হাওড়া সিটি পুলিশের অন্যতম কর্তা প্রিয়ব্রত রায়। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, হাওড়া পাইকারি সব্জি বাজার, সালকিয়া, শিবপুর, পিলখানা, কদমতলা, কালীবাবুর বাজার, আন্দুল বাজার, বাঁকড়া বাজার-সহ শহরের সব বড় বাজারে প্রত্যেক দোকানিকে প্রয়োজন মতো মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হবে।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘বড় রাস্তা ও গলির মোড়ে কোথাও জমায়েত বা আড্ডা হলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে সিটি পুলিশ। নাকা চেকিং ছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এ দিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ৩৪২ জনকে লকডাউন না মেনে বাইরে বেরোনোর জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৮ জনকে চিহ্নিত করা হয় জনকে ড্রোনের সাহায্যে। মোট ১৫টি গাড়ি, ৭০টি বাইক ও একটি অটো সিজ করা হয়েছে।’