রিং নম্বর ৫৫২কে সাক্ষী রেখে শেষ হল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়া
রিং নাম্বার ৫৫২। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো (East-West Metro) প্রকল্পের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ সম্পূর্ণ হল এই রিং নাম্বার ৫৫২ দিয়েই। কয়েক হাজার রিং ব্যবহৃত হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে মহাকরণ হয়ে শিয়ালদহ সেখান থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত। কিন্তু মাটির নীচে ইতিহাস হয়ে থাকল রিং নাম্বার ৫৫২, যা টানেল বোরিং মেশিন উর্বি বসাল বউবাজারে মাটির নীচে। আর তা দিয়েই সম্পূর্ণ হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ।
২০১০ সালে এই প্রকল্পে শুরু হয়েছিল সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। ফুলবাগানে নিয়ে আসা হয়েছিল টানেল বোরিং মেশিন। কথা ছিল ২০১৩ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এই প্রকল্প। কখনও জমি সমস্যা, কখনও রুট বদল, কখনও বাড়ি ধ্বসে পড়া কখনও আবার করোনার থাবা। সব বাধা অতিক্রম করে অবশেষে শেষ সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ। এবার বিশাল আকারের দুই টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি ও উর্বি তাদের তুলে আনা হবে মাটির নীচ থেকে। অপর দিকে চলবে শিয়ালদহ থেকে মহাকরণ অবধি লাইন পাতা ও স্টেশন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা। অপর অংশ মহাকরণ থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে হাওড়া স্টেশন হয়ে হাওড়া ময়দান অবধি চলছে দ্রুত স্টেশন নির্মাণ ও লাইন পাতার কাজ৷ মেট্রো কর্তৃপক্ষ চাইছে ২০২৩ সালের মধ্যে হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ অবধি প্রকল্প চালু করে দিতে। যা সম্ভব হলে দিনে কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।
২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট ভেঙে পড়ে বউবাজারে একের পর এক বাড়ি। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ অবধি মেট্রোর কাজ চলার সময়ে ধ্বস নামে মাটির নিচে। যার জেরে মেট্রোর কাজ ব্যাহত হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে সেই কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে মাটির নীচে আটকে পড়া টিবিএম চান্ডি দিয়ে আর কাজ করা যাবে না ভবিষ্যতে। তাকে ডিসম্যান্টেল করে তুলে ফেলা হবে। অপর টানেল বোরিং মেশিন উর্বিকেও তুলে আনা হবে। এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হবে চলতি বছরে নভেম্বর মাসে। তারপর শুরু হবে বউবাজারে বাড়ি বানানোর কাজ।