রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আজ বৈঠকে মমতা

May 17, 2021 | 2 min read

 গরিব ‘দিন আনি, দিন খাই’ মানুষদের কথা ভেবে সম্পূর্ণ লকডাউন চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরিস্থিতি রাজ্য সরকারকে বাধ্য করেছে সার্বিকভাবে কড়া নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে। রবিবার ভোর থেকে সেই বিধি কার্যকর হয়েছে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন গরিব মানুষও। তাদের অবস্থা খতিয়ে দেখে কিছু সুরাহা দেওয়ার কথা ভাবছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই আজ, সোমবার দুপুরে ডাকা হল রাজ্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক। মন্ত্রীদের শপথগ্রহণের পর এটি দ্বিতীয় বৈঠক।

কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দা, গুরুত্বপূর্ণ ১২টি দপ্তরের মন্ত্রীকে নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বাকি মন্ত্রীরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেবেন। হাজির থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থসচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও। নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা হবে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধার কথা সরকারের অজানা নয়। তাই শনিবার থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। শহরে কর্মরতদের বাড়ি ফেরাতে অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে পরিবহণ দপ্তর। সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়েছে অন্যভাবেও। এই অবস্থায় বিধিনিষেধের আওতায় নতুন করে কিছু ছাড় দেওয়ার উপায় আছে কি না, তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হতে পারে।


আজ বৈঠকে যে ১২ জন মন্ত্রী থাকবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়,  পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত থাকবেন।

রাজ্যজুড়ে বিধিনিষেধ জারির পরদিনই মন্ত্রিসভার বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, সেব্যাপারে সন্দেহ নেই প্রশাসনিক মহলের। শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, কর্মসংস্থান সহ নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। নেওয়া হতে পারে জরুরি কিছু সিদ্ধান্ত।  
গতকাল বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ঘোষণার পর থেকেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কলকাতা ও অন্যান্য জেলাসদরের বাসস্ট্যান্ডগুলিতে। শহরে কর্মরতরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে ভিড় জমান সেখানে। সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে তড়িঘড়ি বিশেষ উদ্যোগ নেয় পরিবহণ দপ্তর। চালানো হয় অতিরিক্ত বাস। শুধু উত্তরবঙ্গের জন্য কলকাতা থেকে ১৩টি বিশেষ বাস নামানো হয়েছিল। এছাড়া কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির মধ্যে যাতায়াত করেছে চারটি অতিরিক্ত বাস। একই ব্যবস্থা ছিল শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, বহরমপুরের মধ্যেও। কলকাতা থেকে মালদহ পর্যন্ত দু’টি বাস চলেছে। এসপ্ল্যানেড টার্মিনাস থেকে দীঘা, হলদিয়া, মেদিনীপুর, আরামবাগ, বর্ধমান, সিউড়ি, জামুড়িয়াগামী ২৯টি অতিরিক্ত বাস চালিয়েছে এসবিএসটিসি। হাওড়া টার্মিনাস থেকে চলেছে ৩৪টি বিশেষ বাস। এই প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যারা শহরে কাজ করেন, তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে পরিবহণ দপ্তর। রাতভর বাস চালানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন কর্মীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #covid 19, #COVID Second Wave

আরো দেখুন