নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে লালবাজারে চিঠি তৃণমূলের
নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় (Narada Scam Case) রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে গ্রেফতারের ঘটনায় CBI আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে চিঠি দিল তৃণমূলের মহিলা কংগ্রেস। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), মদন মিত্র (Madan Mitra), সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) গ্রেফতারি অনৈতিক বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। পাশাপাশি এই ঘটনার নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রয়েছেন অভিযোগ করেছে জোড়াফুল শিবির।
চিঠিতে শাসকদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করছেন। রাজ্যপালকে নির্দেশ দিচ্ছেন।’ পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। চিঠিতে শাসক শিবির উল্লেখ করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল। কাউকে গ্রেফতারের জন্য CBI-কে কীভাবে নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যপাল, এ প্রশ্নও তুলেছে তারা। এ নিয়ে রাজ্যপালের কোনও সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। পাশাপাশি মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেফতার করা হল না সে নিয়েও সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির।
উল্লেখ্য, নারদ কেলেঙ্কারি (Narada Scam Case) তদন্ত মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে CBI।এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় জানান, এটি সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ। একুশের নির্বাচন হেরে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় BJP-র নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে CBI। এদিন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সৌগত রায় জানান, রাজ্যপাল কেন চার্জশিট প্রসঙ্গে অনুমতি দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদালতে মোকাবিলা হবে।তৃণমূল নেতা তাপস রায় জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই গ্রেফতারি। নিজেদের পরাজয় মানতে পারেনি BJP। এদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রেফতারির জন্য রাজ্যপালের অনুদান দেওয়া অবৈধ। তাঁর গ্রেফতারের অনুমোদন দেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল একটা দৈত্য, রক্ত খেকো বাঘ।’