বন্যা মোকাবিলায় ১ জুন উত্তরবঙ্গে চালু হবে কন্ট্রোল রুম
বন্যা মোকাবিলায় ১ জুন উত্তরবঙ্গে চালু হবে তিনটি রিজিউনাল কন্ট্রোলরুম। মঙ্গলবার দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভার্চুয়াল প্রস্তুতি মিটিং করার পর একথা জানান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা না করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মালদহে গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ করা হয়েছে। আগামী দিনেও ওই কাজ চলবে। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) অস্থায়ী স্টেশন গড়তে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। তারা এ ব্যাপারে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে তারা জেলার প্রতিটি দপ্তরকে ল্যান্ড ফোন সচল করতে বলেছে। সর্বত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক না থাকায় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ১ জুন থেকে সরকারিভাবে বর্ষার মরশুম শুরু হবে। তাই এদিন বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও মালদহ, এই তিনটি জায়গায় সেচদপ্তরের অফিসে রিজিওনাল কন্ট্রোলরুম পয়লা জুন থেকেই চালু হবে। সেখান থেকে বৃষ্টিপাত, নদীর গতিপ্রকৃতি এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হবে। গত বছর আচমকা বন্যা পরিস্থিতির জেরে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের কিছু এলাকায় বাঁধের ক্ষতি হয়। যার ৯০ শতাংশ মেরামত করা হয়েছে। কোভিড প্রোটোকল মেনেই নদীর বাঁধ ও পাড় মেরামত করার আরও কিছু কাজ এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করা হবে।
সেচমন্ত্রী বলেন, মালদহে অন্যতম সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। তা রোধ করতে প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়ন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। তারা সেই প্রকল্প করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গঙ্গা ভাঙন রোধের কিছু কাজ হয়েছে। এখন বর্ষার মুখে জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামতি ও সংস্কারের কাজ করা হবে। বর্ষার পর বাঁধ ও পাড় মেরামতির বড় কাজে হাত দেওয়া হবে। বর্ষার মরশুমে উত্তরবঙ্গবাসীকে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।
অন্যদিকে, বর্ষার মরশুম শুরুর আগে দুর্যোগ মোকাবিলা করা নিয়ে প্রস্তুতি মিটিং করল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। মিটিংয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বহ্নিশিখা দে, জেলা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিক রিনচিন শেরপা সহ স্বাস্থ্য, পূর্ত, পুলিস, দমকল, পিএইচই প্রভৃতি দপ্তরের আধিকারিক এবং এসডিও ও বিডিও’রা ছিলেন। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বলেন, গত মরশুমের মতো এবারও কার্শিয়াংয়ে এনডিআরএফের স্টেশন খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।