টিকা উৎপাদন নিয়ে গড়করিকে খোঁচা জয়রামের
দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ বদলে এখন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই মারণ ভাইরাস। এর জেরে একদিকে যখন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল৷ তখন করোনার সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র অস্ত্র টিকার জন্য হাহাকার চলছে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হলেও, টিকার জোগানে ঘাটতির অভিযোগ উঠে আসছে শুরু থেকেই। এই পরিস্থিতিতে বারবার দাবি উঠছে অন্যান্য ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে প্রতিষেধক তৈরির ফর্মুলা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরিও অন্যান্য ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপরই গড়করিকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, ‘এই প্রস্তাব ডঃ মনমোহন সিং ১৮ এপ্রিল দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার বস কি এসব শুনছেন?’
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে নীতিন গড়করি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত প্রত্যেক রাজ্যের ২-৩টি ল্যাবে পরিকাঠামো রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তাদের ফর্মুলা দেওয়া উচিত। তারা যদি জোগান দিতে সক্ষম হয়, তাহলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’ তিনিই প্রথম কোনও মন্ত্রী যিনি এহেন আবেদন করেছিলেন। তারপরই টুইটে তাঁকে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকাকরণ ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য শুরু হয়েছে ১মে থেকে। কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সরাসরি নির্মাতা সংস্থার কাছ থেকে করোনা টিকা কিনতে পারবে। কিন্তু ভ্যাকসিন সঙ্কটের জেরে একাধিক রাজ্যে শ্লথ হয়েছে টিকাকরণের গতি। দেশে স্রেফ ৪ কোটি মানুষ টিকার ২ ডোজ পেয়েছেন। ১০ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। টিকার এই ব্যাপক সঙ্কটের জন্য বারবার বিরোধীরা নিশানা করছে কেন্দ্রকে।