বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

বিশ্বের রহস্যময় কিছু ঘটনা

April 20, 2020 | 3 min read

বিজ্ঞানীদের মতে আজ থেকে ৫৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হয়েছে। বিজ্ঞান নিজের নিয়মে এগিয়ে গেছে। কিন্তু পৃথিবীর প্রতি পরতে পরতে রহস্য। আর এই রহস্যভেদে সম্পূর্ণ ভাবে বিজ্ঞান এখনো সফল নয়। পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার কোনও সমাধান বা যুক্তিই দেখাতে পারেনি বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা।

রইল এমনই কিছু রহস্যজনক ঘটনার তালিকা যা আজও অমীমাংসিত:

১। পিরামিড রহস্যঃ

খ্রীস্টপূর্ব ৫০০০ বছর আগে তৈরি হয় পিরামিড। সব থেকে বড় পিরামিডটি হল গিজার পিরামিড বা খুফুর পিরামিড। এই পিরামিড ৪৮১ ফুট লম্বা এবং ৭৫৫ বর্গ ফুট জমির ওপর অবস্থিত। এই পিরামিডটি তৈরি হয় বিশাল বড় বড় পাথর দিয়ে। যার প্রত্যেকটির ওজন প্রায় ৬০ টন এবং দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। আজকের দিনে প্রযুক্তির জোড়ে এই পাথরগুলি উত্তোলন করা খুব কঠিন না মনে হলেও এত বছর আগে কোন প্রযুক্তি দিয়ে এই পাথর উত্তোলন করা হয়েছিল তা আজও রহস্য।  

২। ভয়নিখের রহস্যময় পাণ্ডুলিপি:

আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে পাওয়া যায় এই রহস্যময় পাণ্ডুলিপি। পোলিশ-আমেরিকান পুস্তক বিক্রেতা উলফ্রিড ভয়নিখ ১৯১২ সালে এক নিলামে কেনেন এই পাণ্ডুলিপি। ফল, ফুল, জ্যামিতিক নক্সা, গ্রহ নক্ষত্রের ছবি, কি নেই এই পাণ্ডুলিপিতে? রয়েছে অনেক শব্দও। কিন্তু এর এক বর্ণও উদ্ধার করে উঠতে পারেনি কেউ। 

৩। রহস্য দ্বীপ বাল্ট্রাঃ

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩ টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। তারমধ্যে একটি দ্বীপের নাম হল বাল্ট্রা দ্বীপ। ঐ দ্বীপপুঞ্জের ১২টি দ্বীপ সাধারণ দ্বীপের মত হলেও, বাল্ট্রা দ্বীপ শুধু ব্যতিক্রম। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল হওয়ায় সেখানে প্রায়ই বৃষ্টিপাত হয়। 

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও, বৃষ্টির একটি ফোঁটাও বাল্ট্রা দ্বীপে পড়ে না। এই দ্বীপে নাবিকদের কম্পাস অদ্ভুত ভাবে স্থির হয়ে যায়। ওপর দিয়ে প্লেন গেলেও একই ঘটনা ঘটে। এই দ্বীপে কোন পশু পাখি নেই। পাখিরা এই দ্বীপে উড়ে এলেও আবার ফিরে যায়। যেন কোন অদৃশ্য দেওয়ালে বাঁধা পড়ে। এক অদ্ভুত শক্তি রয়েছে এই দ্বীপে।

৪। রহস্যময় লকনেস দৈত্যঃ

১৯৩৩ সালে স্কটল্যান্ডের লকনেস শহরের এক লেকে এক দম্পতি এক প্রাগৈতিহাসিক অদ্ভুত প্রাণী দেখতে পায়। এই প্রাণীটি দেখতে অনেকটা পাখাওয়ালা ড্রাগনের মতো। পরের বছর এক মোটর বাইক আরোহীর সাথে ধাক্কা লাগে এই অদ্ভুত প্রাণীটির। পর পর অনেকেই লকনেসের পাশাপাশি অনেক হ্রদেই দেখা পেতে থাকে এই প্রাণীর। এর গলা নাকি প্রায় ৩০ ফুট লম্বা। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছিল নেসি। ১৯৭০ সালে সাবমেরিন দিয়েও খুজে পাওয়া যায়নি এই প্রাণী। ১৯৭২ সালে রাইসন নামের এক ব্যাক্তি কিছু যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দু পাশে ডানাওয়ালা এই দানবটির অস্তিত্ব খুজে পান। সত্যি আজও অধরা।

৫। নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যঃ

অনেকের প্রচলিত ধারণা, ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট জাপানের তাইহুকু দ্বীপে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের কাণ্ডারি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমান দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে পুড়ে মারা যান। কিন্তু অনেকে মনে করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ঐ দুর্ঘটনায় মারা যাননি। ভারতের স্বাধীনতার পরেও  নাকি তাকে দেখা গেছে। অনেকে আবার বলেন গুমনামি বাবাই হলেন নেতাজি। যদিও তিন তিনটি কমিশন বসিয়েও এই অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান আজও অধরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Amazing Facts, #mysterious world facts

আরো দেখুন