রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এ মাসের শেষে রাজ্যে কমবে করোনা, মত বিশেষজ্ঞদের

May 21, 2021 | 2 min read

সংক্রমণের গ্রাফ কি নিম্নমুখী? এপ্রি‌ল থেকে উল্কার গতিতে বৃদ্ধির পর, রাজ্যবাসীকে চরম উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা ও দুঃসহ ভোগান্তিতে রাখার পর অবশেষে করোনা কি কমার দিকে? এমনটাই কিন্তু মনে করছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ সম্পৃক্ত হওয়ার দিকে। বহু মানুষ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। এই অবস্থায় কোভিডের দরকার নতুন শিকার। ভয়-ভীতি এবং কার্যত লকডাউনের (Lock Down) মতো পরিস্থিতির জন্য সেই নতুন শিকার পাওয়া কঠিন। এমনকী সওয়া একবছর ধরে চলা মহামারীতে বারবারই দেখা গিয়েছে, সংক্রমণ (Covid 19) ঢেউয়ের মতোই ওঠানামা করে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের এই ধারণার সপক্ষে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল স্বাস্থ্য বুলেটিনের জলজ্যান্ত পরিসংখ্যান। ৭-১৭ মে—এই ১১ দিনের রোজকার আক্রান্তের হিসেব জানাচ্ছে, করোনার গ্রাফ সর‌লরেখা থেকে হালকা একটি ঢিবির মতো উচ্চতা নিয়েও সেই সরলরেখাতেই শুধু নয়, আরও নিম্নমুখী কার্ভ নিয়েছে।

৭ মে বাংলায় দৈনিক করোনা আক্রান্ত ছিলেন ১৯,২১৬ জন। ৮, ৯ ও ১০ মে রোজকার আক্রান্তের সংখ্যা সেই ১৯ হাজারের ঘরেই থাকে (১৯,৪৩৬, ১৯,৪৪১, ১৯,৪৪৫)। ১১, ১২, ১৩ এবং ১৪ মে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। ২০ হাজারের ঘরে প্রবেশ করে (২০,১৩৬, ২০,৩৭৭, ২০,৮৩৯, ২০,৮৪৬)। কিন্তু, ফের রোজকার সংক্রমণ কমে। শনি, রবি এবং সোমবার—পরপর এই তিনদিনই সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী‌ই ছিল। যথাক্রমে ১৯,৫১১, ১৯,১১৭ এবং ১৯,০০৩।

আর জি করের মেডিসিনের অধ্যাপক এবং রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলায় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য জ্যোতির্ময় পাল বলেন, এই প্রবণতা শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই। আমাদের ধারণা, করোনা হ্রাসের এই প্রবণতা বাকি মাসজুড়েই চলবে। কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্বৈপায়ন মজুমদারও একই সুরে বলেন, সংক্রমণ কমছে। তার মধ্যে বিধিনিষেধ আরও কড়াভাবে জারি হওয়ায় শৃঙ্খল ভাঙবে বলে আশা করি। স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে আর কত মানুষকে আক্রান্ত করবে করোনা? কারণ, বেশিরভাগ ইতিমধ্যেই সংক্রামিত। তবে মানুষের কাছে বিশেষত গ্রামীণ এলাকা ও শহরতলির কাছে আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা, একসঙ্গে আড্ডা মারা, মুড়ি-চপ-তেলেভাজা খাওয়া, দল বেঁধে সান্ধ্যকালীন সংকীর্তন বা গান শুনতে বসে পড়া এখন বন্ধ রাখতেই হবে। আমরা জানি, এসবের সঙ্গে পাড়াগাঁ বা মফস্সলের অন্তরাত্মা জড়িয়ে। কিন্তু শহরের মতো গ্রামীণ এলাকার সর্বত্র করোনা ব্যাপকভাবে ছড়ালে বিপদ আরও বাড়বে। বিপদ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। আর ভুলে গেলে চলবে না তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথাও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19

আরো দেখুন