কাজ নেই লকডাউনে, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল গৃহসহায়িকা ইউনিয়ন
নতুন সরকারে(government) এসেই সেই লকডাউনের পথেই হাঁটতে হয়েছে রাজ্যকে। বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের মতোই বিপুল সমস্যায় বাড়ির গৃহসহায়িকা, পরিচারিকারা(home maid)। বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে তারা এবার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যতম কর্মহীন পরিবারের(family) জন্য মাসিক ৬০০০ টাকার দাবি করেছেন তারা।
পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি তরুণ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ‘আমাদের রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এক অতিমাত্রা ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যানবাহন চলাচল, সরকারি -বেসরকারি অফিস, সহ বেশ কিছু ক্ষেত্র বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে। যা এই সময় প্রয়োজনীয়।
যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না বহু মানুষ। যাঁরা গৃহসহায়িকার কাজ করেন অনেকেই আছেন ট্রেন (train) বাস (bus) না চলার কারণে তাঁরা কাজে যোগদান করতে পারছেন না। আবারও সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই তাঁদের কাজে আসতে বারণ করেছেন। বিশেষত আবাসন গুলিতে। বাড়িতে সংক্রমণ হওয়ার পর ও সেই বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। ফলত অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন।
এই গরীব (poor) অংশের মানুষের অনেকেরই চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা থাকছে না। এক ভয়ানক বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পারিবারিক আয় না থাকার কারনে সংসারে চরম অশান্তি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থা।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা শিল্পি সরকার জানিয়েছেন, ‘এমতাবস্থায় আমাদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার কাছে আমরা বেশকিছু দাবী করে চিঠি দিয়েছি।’
দাবীগুলি কী? কার্যকরী সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ প্রথমেই জানিয়েছেন, ‘সকল কর্মহীন পরিবারের জন্য মাসিক ৬০০০ টাকা দিতে হবে । সকল গৃহসহায়িকা পরিবার কে চাল/ গম দিতে হবে। গৃহসহায়িকারা বাড়িতে বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীর সংস্পর্শে আসছেন। তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাক্সিনেশন করাতে হবে। অনেক গৃহসহায়িকার বাড়ি অন্য জেলায় কিন্তু তাঁরা কলকাতার বাড়িতে বাড়িতে কাজ করেন। তাঁদের কলকাতায় ভ্যক্সিনেশন করাতে হবে।’
তাঁদের আরও দাবী, ‘সমস্ত গৃহকর্তা/ গৃহকর্তীদের কাছে আবেদন ট্রেন বা বাস না চলার কারনে যারা কাজে আসতে পারছেন না তাদের মাসের মাইনেটা কেটে নেবেন না। বাড়িতে কাজ করতে এসে অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। গৃহসহায়িকা কাজে এলে তাঁকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে সেই বিষয়ে নজর দিন। মাস্ক, স্যানিটাইজার, এই সবের ব্যাবস্থা করে দিন।’
সংগঠন জানিয়েছে, ‘আমরা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত রেড ভলেন্টিয়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখছি যাতে কেউ অসুস্থ হলে তাঁর দ্রুত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। কোভিড মোকাবিলায় কিছু সরঞ্জাম দেওয়ার ব্যাবস্থা করছি। আশাকরি প্রান্তিক মানুষগুলির জন্য এই রাজ্য সরকার।’