বাড়ছে দায়িত্ব, মিলছে না বেতন, দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিল আশাকর্মীরা
আশা–কর্মীদের দায়িত্ব বাড়াতে নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দায়িত্বের সঙ্গে বেতন বাড়েনি। মেলেনি প্রাপ্য সম্মানও। তাই একগুচ্ছ দাবি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার সারা ভারত ধর্মঘট ডাকল ‘আশা’ কর্মীদের সংগঠন স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। সোমবার এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আশা কর্মীদের ‘স্বাস্থ্যকর্মী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। মাসিক ভাতা দিতে হবে কমপক্ষে ৫০০০ টাকা। কোভিড আক্রান্ত কর্মীদের এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকী সবাইকে দিতে হবে উপযুক্ত সুরক্ষা সামগ্রী।
জানা গিয়েছে, আশা কর্মীদের টিকা দেওয়ার অধিকার নেই। তাঁদের দায়িত্ব হল—মানুষকে টিকাদান কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালানো, ওষুধ এনে বাড়ি বাড়ি দেওয়া, তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের মাত্রা মাপা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করা। এই করোনা সংক্রমণের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বহু সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়তে পারেন।
রাজ্য সরকার ‘ইকমো হাব’ চালু করতে চলেছে। আশঙ্কাজনক কোভিড রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে এটা সাহায্য করবে। একাধিক কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র বা ইকমো চালানোর পরিকাঠামো থাকবে সেখানে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের নবনির্মিত কোভিড ওয়ার্ডের চারতলায় হবে এই হাব। একসঙ্গে সাতটি ইকমো চালানোর পরিকাঠামো থাকবে। এই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এক কোটি টাকা লাগবে। অর্থাৎ এখানে মোট প্রায় সাত কোটি খরচ করছে রাজ্য। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এটি চালুর পর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ইকমোর সংখ্যার দিক থেকে শম্ভুনাথ উঠে আসবে দ্বিতীয় স্থানে।
রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের একটি দল বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও বাড়তি রোগী ভর্তি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও পরিষেবা সঠিকভাবে মেলেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের।