বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় টিম তৈরি সিইএসসির
বিদ্যুৎ বিপর্ষয়ের পর তা সারাইয়ের কাজে বেরিয়ে বিদ্যুৎ কর্মীরা যাতে মাঝপথে ‘ছিনতাই’ না হয়ে যান, তার জন্য এবার আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে সিইএসসি (CESC)। গত বছর আম্পানের সময় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বহু জায়গায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কোথাও কোথাও দু’দিনেরও বেশি বিদ্যুৎ আসেনি। তাতে সিইএসসির উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এদিকে কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য রওনা হয়েও সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেননি সিইএসসির কর্মীদের একাংশ। বিদ্যুৎ নেই, এমন এলাকায় তাঁদের একপ্রকার জোর করেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সারাইয়ের কাজ করে দেওয়ার জন্য। অভিযোগ ছিল, কলকাতা ও শহরতলির সর্বত্র কর্মীদের ছড়িয়ে রাখেনি সিইএসসি। প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীও ছিল কম। যশের মোকাবিলায় সেই খামতিগুলিই পূরণ করার চেষ্টা হয়েছে, দাবি করেছে ওই বিদ্যুৎ সংস্থা।
সোমবার সিইএসসির অভিজিৎ ঘোষ বলেন, গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা। আড়াই হাজার কর্মী এবার মজুত থাকবেন, যা আম্পানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। কলকাতার যে এলাকায় মাটির নীচে বিদ্যুতের তার গিয়েছে, সেই এলাকায় থানাভিত্তিক একটি করে টিম থাকবে। কলকাতার যে এলাকায় মাটির উপর তার গিয়েছে, সেই এলাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক দু’টি করে টিম থাকবে। তাছাড়া কলকাতার বাইরে শহরতলিতে যে এলাকাগুলিতে সিইএসসি পরিষেবা দেয়, সেখানেও থানাভিত্তিক দু’টি করে টিম থাকবে।
এরপরও দরকার হলে আরও কর্মী ব্যবহার করা হবে। এতে কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকার বিদ্যুতের কাজে সেই এলাকায় নিযুক্ত থাকা কর্মীদেরই কাজে লাগানো যাবে। পাশাপাশি অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, এবার সিইএসসি‘র কলসেন্টারগুলিতে ‘ব্যাকআপ’ রাখা হচ্ছে, যাতে গ্রাহক ফোন করে সমস্যার কথা বলতে অসুবিধায় না পড়েন। সিইএসসি এলাকার ২০ শতাংশ জায়গায় ওভারহেড তার আছে। তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় ঝড়ের আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে সিইএসসি। যে এলাকায় জল জমবে, সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ করা হবে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়াও পর্যাপ্ত জেনারেটর সেটেরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।