রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ‘সন্ধান চাই’, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

May 25, 2021 | 2 min read

‘সন্ধান চাই। রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে রানাঘাটের মানুষের দুঃখের দিনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি ওঁর খোঁজ পেয়ে থাকলে দয়া করে জানাবেন।’  সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে রানাঘাটের এমপির একটি ছবিও ব্যবহৃত হয়েছে। তাতে আবার ‘নিখোঁজ’ বলেও লেখা হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল ওই পোস্টে অনেকেই আবার কটাক্ষ করে এমপিকে ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ লিখেছেন, এরা পরিযায়ী পাখি, ভোট এলে আবার দেখা যাবে। ভোট নেই তাই এরাও এখন নেই। কেউ আবার লিখেছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের খুঁজে আনতে বলুন। কারও ব্যঙ্গ, উনি মনে হয় সন্ন্যাস নিয়েছেন। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।


যদিও ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টকে গুরুত্ব দিতে চান না বিজেপির সাংসদ। জগন্নাথবাবু বলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে আমি যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছি, এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছি, তা অন্য কোনও এমপি করেছে বলে আমার জানা নেই। কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ধরনের পোস্ট করেছে, তাতে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। যদিও ওই পোস্টের সঙ্গে একমত পদ্ম শিবিরের কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অনেকেই বলেন, ভোট মিটে যাওয়ার পর এমপিকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।  শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জগন্নাথবাবু জয়ী হলেও পরবর্তীতে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে দলের নির্দেশে তাঁকে রানাঘাট, ধানতলা, চাকদহে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে ও থানায় যেতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই নদীয়া জেলাজুড়ে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘যশ’। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের অনেকেই রানাঘাটের এমপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। 


শান্তিপুর শহরের বাসিন্দা অরূপ মজুমদার বলেন, এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিদিনই নিজেদের কর্মসূচি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। জগন্নাথবাবুও ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যেতেই তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে শান্তিপুর বিধানসভাও বিধায়কপদ শূন্য হয়ে রয়েছে। অথচ এই কেন্দ্রের সাধারণ মানুষ তাঁর উপর উপরই আস্থা রেখেছিলেন। অথচ ভোটে জেতার পর এমপি পদ ধরে রাখতে তিনি বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। এমপি হিসেবেও এই দুর্দিনে সেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের এমপি তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও ফেসবুক লাইভে এসে সাধারণ মানুষকে কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, কৃষ্ণনগরের এমপি তাঁর লোকসভার অধীন বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় থাকা সেফ হোমে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিনিয়ত তিনি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। তাই রানাঘাটের বিজেপি সংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে কারণে ‘সন্ধান চাই’ বলে জগন্নাথবাবুর ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Jagannath Sarkar

আরো দেখুন