সুন্দরবনে জলবাহিত রোগ রুখতে শিবির করলো এইএমএ
যশ পরবর্তী বিদ্ধস্ত উত্তর ২৪ পরগনায় ছড়িয়ে থাকা সুন্দরবনের বিস্তির্ণ এলাকা। বহু এলাকা জলবন্দি। এর ফলে বাড়ছে জলবাহিত রোগ। সুন্দর বনের ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া চুলকানি রোগের প্রকোপ রুখতে ততপর ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।
বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবন লাগোয়া ব্লক সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ সহ ছটি ব্লকের কোথাও বাঁধ ভেঙে আবার কোথাওবাধ উপছে নদীর নোনা জল ঢুকেছে । নোনা জলের সঙ্গে মিঠা জলের সংস্পর্শে এসে প্রচুর মাছ মরছে। সূর্য উঠতেই পচন শুরু হচ্ছে বিভিন্ন জীব জন্তুর। তার জেরে শুরু হয়েছে পেটের রোগ ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া চুলকানি ও চর্মরোগ।
জলবাহিত রোগ রুখতে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের মামুদপুর হাইস্কুলে এক মেডিকেল টিম বসানো হলো জলবন্দি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। যশ পরবর্তী পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার ফলে নোনা জল দূষিত হয়ে বিভিন্ন জলবাহিত রোগের প্রকোপ ছড়াচ্ছে
ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন রোগের হাত থেকে সুন্দরবন বাসিকে বাঁচাতে উদ্যোগী ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন সহ অন্যান্য সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেন। রবিবার হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মাহমুদপুর গ্রামে এক মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। প্রায় দু হাজার দুর্গতদের করোনা বিধি মেনে একদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অক্সিমিটার, স্যানিটাইজার, মাক্স, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আইএমএ তরফে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে চাল ডাল আটা শুকনো খাবার বাচ্চাদের দুধ বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে।
যশ ঝড় ও কোটালের জোড়া হামলায় রাজ্যের উপকূলীয় এলাকার দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু এলাকা বিপর্যস্ত। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন বেষ্টিত এলাকাতেও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যশের (Yaas) প্রভাবে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ও ওডিশার (Odisha) উপকূল অঞ্চল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার রাজ্যের উপকূলের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন।