১০ দিনে মেরামত হবে উঃ ২৪ পরগনায় ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত নদীবাঁধ

মিনাখাঁর ঘুসিঘাটার মতো কয়েকটি জায়গায় রাতদিন এক করে বাঁধের কাজ চলছে।

June 1, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

সামনে বর্ষা তার উপর অমবস্যার কোটাল। দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে ফের প্লাবনের আশঙ্কা। কাঁপছেন জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। দশদিনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার সমস্ত ভাঙা বাঁধ মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ করার টার্গেট নিয়েছে সেচদপ্তর। তাই আরও বেশি ঠিকাদার সংস্থাকে কাজে লাগানো হবে।

অন্যদিকে, ত্রাণের সঙ্কট কাটাতে তৃণমূলের উদ্যোগে বুধবার বসিরহাট মহকুমায় প্রায় ১০০ গাড়ি ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৫ কিমি নদীবাঁধ নষ্ট হয়েছে। নদীবাঁধ ভেঙেছে ১৩৭ জায়গায়। পাঁচদিনে ১২৭টি জায়গায় কোনওমতে জল আটকানো গিয়েছে। বাকি ১০টি জায়গার বাঁধ অনেকাংশেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।

মিনাখাঁর ঘুসিঘাটার মতো কয়েকটি জায়গায় রাতদিন এক করে বাঁধের কাজ চলছে। যদিও ওইসব জায়গা দিয়ে এখনও জোয়ারভাটা বইছে। সেচদপ্তরের অফিসাররা জানান, প্রথমে যেকোনও মূল্যে জল আটকানোর চেষ্টা চলছে। এরপর সব জায়গায় বস্তা ভর্তি মাটি দিয়ে বাঁধ শক্তপোক্ত করার কাজ করা হচ্ছে। দশদিনের মধ্যে কাজ শেষ না-হলে বর্ষায় বিপদ বাড়তে পারে। তাই আরও বেশি কর্মী লাগিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। অন্যদিকে, সরকারি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভের পারদ চড়েছে।

পানীয় জলের পাশাপাশি ব্লিচিংয়ের চাহিদা খুব বাড়ছে। যুব তৃণমূলের উদ্যোগে সোমবার সন্দেশখালি‑১ ও ২ ব্লকে ত্রাণসামগ্রী বিলি করা হয়। বুধবার বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্যোগে ধামাখালিতে কিছু ত্রাণসামগ্রী যাবে। বণ্টনের জন্য তুলে দেওয়া হবে প্রশাসনের হাতে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের কিছু দুর্গত এলাকা দেখবে। সেচদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে তারা খতিয়ে দেখবে মূলত নদীবাঁধ। বাঁধের কাজ নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen