১৫ জুনের মধ্যে পাঠাতে হবে উন্নয়নমূলক কাজের রূপরেখা, নির্দেশ জেলা পরিষদকে
আগামী ১৫ জুনের মধ্যে জেলা পরিষদগুলিকে উন্নয়নমূলক কাজের রূপরেখা পাঠানোর নির্দেশ দিল পঞ্চায়েত দপ্তর (Panchayat Dept)। ‘ই-গ্রাম স্বরাজ’ পোর্টালে (E Gram Swaraj Portal) তা আপলোড করতে হবে। কাজের খতিয়ান দেখেই প্রতিটি জেলা পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বরাদ্দ হবে। কোথায় কী কাজ হবে সেসব কিছু বিস্তারিত দিয়ে পোর্টালে আপলোড করতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বর্ষে জেলা পরিষদগুলিকে দু’টি পর্যায়ে ৬০-৬৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার বেশকিছু জেলা পরিষদ অনেক বেশি কাজের রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনা করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ৭৫কোটি টাকার রূপরেখা পাঠানোর টার্গেট নিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহানাজ বেগম বলেন, কী কী কাজ করতে হবে তা আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই বৈঠকে বসে ঠিক করব। বেশকিছু রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে জোর দিতে হবে। পানীয় জল সরবরাহের কাজও গুরুত্ব দিয়ে করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে অর্থ কমিশনের টাকা শুধু পঞ্চায়েতগুলিকে পাঠানো হতো। গতবছর থেকে তা পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদগুলির অ্যাকাউন্টেও পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে কাজের রূপরেখা পাঠাতে হয়। তা খতিয়ে দেখার পর অর্থ বরাদ্দ করা হয়। অধিকাংশ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি ইতিমধ্যেই কাজের পরিকল্পনা করে পাঠিয়ে দিয়েছে। পোর্টালে তা আপলোডও হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কয়েকটি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি এখনও তথ্য পোর্টালে আপলোড করেনি। তাদেরও ওই সময়ের মধ্যে তা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা ‘টায়েড’ এবং ‘আনটায়েড’ খাতে খরচ করা যাবে। টায়েড খাতে ৬০ শতাংশ ও আনটায়েড খাতে ৪০ শতাংশ টাকা খরচ হবে।
এক আধিকারিক বলেন, ‘প্ল্যানিং’ পাঠানোর কয়েক মাস পরেই টাকা আসে। আগে এই প্রকল্পের টাকা রাস্তা সংস্কার বা পানীয় জল সরবরাহের কাজে খরচ করা হতো। এখন এই টাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও করা যাবে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা খরচ করা যেতে পারে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই প্রকল্পে একাধিক নিয়ম লাগু করা হয়েছে। কোনও রাস্তা সংস্কার করতে হলে সেটির আগে ও পরের ছবি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কাজ শেষ হলে সরকারি আধিকারিকরা সরেজমিনে কাজ খতিয়ে দেখবেন। কোথাও কাজের খুঁত দেখা দিলে ঠিকাদারের বিল আটকে দেওয়া হতে পারে। বিলও অনলাইনে দেওয়া হবে। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। তাতে কাজে অনেক স্বচ্ছতা আসবে বলে আধিকারিকদের দাবি।