উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

অতিরিক্ত বিলের জের, শিলিগুড়ির ৮ নার্সিংহোমকে শোকজ

June 1, 2021 | 2 min read

সম্প্রতি শিলিগুড়ির একাধিক নার্সিংহোমে (Nursing Home) পরিদর্শনে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের একাংশ। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দেখালেই নার্সিংহোমের একাংশ বলছে বেড নেই। এমনই অভিযোগ পেয়েছিলেন পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা। এরপর এনিয়ে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।এবার শিলিগুড়ির একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। ইতিমধ্যেই অন্তত ৮টি নার্সিংহোমকে শোকজ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। মূলত কোভিডের চিকিৎসার নাম করে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দার্জিলিং জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকেও অনেকে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়িতে আসেন। অসম থেকেও অনেকে কোচবিহারের পাশাপাশি শিলিগুড়ির একাধিক নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু কোভিডের চিকিৎসার নাম করে নানা অজুহাতে রোগীর পরিজনদের কাছ থেতে মোটা টাকার বিল শিলিগুড়ির কয়েকটি নার্সিংহোম আদায় করছিল বলে অভিযোগ। এনিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও অভিযোগ আসে। শিলিগুড়ির পুরনিগম কর্তৃপক্ষও এনিয়ে বৈঠকে বসেছিল। পুরনিগমের প্রশাসক গৌতম দেব ইতিমধ্যেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে একাধিক নার্সিংহোমে পরিদর্শন করেন। এরপরই শিলিগুড়ির আটটি নার্সিংহোমকে শোকজ করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। মূলত স্বাস্থ্য় সাথী কার্ডের সুবিধা না দেওয়া. বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবলম বলেন, কয়েকটি নার্সিংহোমকে শোকজ করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে। 

বাসিন্দাদের দাবি, শিলিগুড়িতে সরকারি স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা বলতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। অন্যদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে শিলিগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বড় নার্সিংহোম গড়ে উঠেছে। সেই নার্সিংহোমগুলির একাংশের বিরুদ্ধেই এবার অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগ। কেন এই নার্সিংহোমগুলির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি নেই সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#nursing home, #Health, #Coronavirus

আরো দেখুন