কোন কোন ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? দেখুন তালিকা
করোনার ত্রাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। যে সকল পরিসংখ্যান উঠে এসেছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শিশু, প্রবীণ, স্থূল ব্যক্তিদের বেশী। বিভিন্ন শারীরিক অঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল থাকার ফলে এই রোগ বেশী করে থাবা বসাতে সক্ষম হয়।
কথায় বলে সব চুল না পাকলে ভারতে কেউ রাজনৈতিক হয় না। ব্যতিক্রম আছে, তা খুব সামান্যই। এটাই বাস্তব আমাদের দেশে। অনেকের আবার নানা অসুখ আছে। সুতরাং যতই সারাদিন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এনারা থাকুন না কেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এঁদের সবচেয়ে বেশি।
দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
অমিত শাহঃ- দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের শিকার এবং স্থুলকায়। তাই, এনার আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।
নির্মলা সীতারমণঃ- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ইনি অমিত শাহের বিপরীত অর্থাৎ লো সুগারের রোগী। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় ইনি লো সুগার হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। তৃণমূল সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এনাকে লজেন্স খাইয়ে সুস্থ করেন।
শরদ পাওয়ারঃ- জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এই প্রবীণ রাজনৈতিকের এমনিও অনেক বয়স। তার ওপর তিনি ২০১৮ সালেই ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফিরেছেন।
টি আর বালুঃ- ডিএমকে দলের এই ৭৮ বছর বয়সী নেতা তামিলনাড়ুতে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু, এতো বয়সের ফলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এনারও প্রবল।
অমিত মিত্রঃ- রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। করোনা মূলত আঘাত করে ফুসফুসে। অমিতবাবু দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি রোগী। তাই, করোনা থেকে বাঁচতে এনাকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ- লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা প্রবীণ এই রাজনৈতিক দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের রোগে ভুগছেন। তাই অতিরিক্ত সাবধান থাকা উচিৎ এই রাজনৈতিকেরও।
সৌমেন মিত্রঃ- প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা কিছুদিন আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুকে জল জমে যাওয়ার কারণে। করোনা থেকে বাঁচতে তাঁকেও নিতে হবে বিশেষ নিরাপত্তা।
সৌগত রায়ঃ- প্রবীণ এই তৃণমূল সাংসদ দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত। এছাড়া তিনি নিয়মিত ধূমপান করেন। ফলে করোনা থেকে বাঁচতে এনাকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিমান বসুঃ- বামফ্রন্টের এই প্রবীণ নেতা মূলত বয়সের কারণেই করোনার শিকার হতে পারেন।