কোভিড কমলেই ৬ আসনে উপনির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলার আর্জি জানাবে তৃণমূল
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কমলেই পশ্চিমবঙ্গে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে বকেয়া উপনির্বাচন দ্রুত সেরে ফেলা হোক। পাশাপাশি রাজ্যসভায় যে ক’টি আসন খালি রয়েছে সেগুলির ভোটও সম্পন্ন করা হোক। এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি মাসে। আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে আগে পদত্যাগ করেন মানস ভুঁইয়া। পশ্চিমবঙ্গ থেকে খালি হওয়া এই দু’টি রাজ্যসভার আসনে নতুন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কথা। একই ভাবে তামিলনাড়ুর ৪টি রাজ্যসভার আসন খালি রয়েছে। এই দু’রাজ্যেই রাজ্যসভার ভোট হলে বিজেপি-বিরোধী দলের প্রার্থীদেরই জিতে আসার কথা। বিরোধী শিবিরের একাংশ বলছে, এ কারণেই ভোট করাতে কিছুটা গড়িমসি করছে শাসক দল। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে এই শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অযথা বিলম্ব না-করে অন্তত রাজ্যসভার ভোট সেরে নেওয়া ভাল। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, রাজ্যসভার ভোট আমজনতার নয়। ভোট
দেবেন বিধায়করাই এবং তা হবে বিধানসভা ভবনের ভিতর। ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্বাচন করতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। দরকার হলে দু’দফায় তা করানো যেতে পারে।
দলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, “সংবিধান অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যসভার ভোট করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর একটু ভাল হলেই ভোট-পর্ব সেরে ফেলা ভাল।” তাঁর বক্তব্য, রাজ্যসভায় শক্তি কম থাকার অর্থ, রাজ্যের স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় তোলার সুযোগ কম থাকা।
তৃণমূলের হিসেব, অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের যে ছ’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটিতেই তৃণমূল প্রার্থীর জেতার কথা। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত হওয়া। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেন্দ্রের যে রকম সংঘাতের পরিস্থিতি চলছে, তাতে কোভিডের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউকে সামনে রেখে কোনও সাংবিধানিক সঙ্কটের দিকে না রাজ্যকে ঠেলে দেয় কেন্দ্র এমন আশঙ্কাও করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা তাই নির্বাচন কমিশনকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।