দীঘার সমুদ্রতটের শ্রী ফেরাতে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য
যশের (Yaas) দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত সৈকত শহর দীঘা-মন্দারমণি-তাজপুর-শঙ্করপুর। অবস্থা পরিদর্শনে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের এই সব এলাকায় যাচ্ছেন সেচ দফতরের সচিব। সমুদ্রে গার্ডওয়াল কতটা দেওয়া যায়, কী ভাবে বোল্ডার ভেঙে বেরিয়ে গেল, সব দিক দেখে তিনি একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন। আগামি দিনে সমুদ্রতটের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্যে রাজ্য সরকার সাহায্য নিতে চলেছে একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার। সেই কারণেই দফতরের প্রধান সচিব গোটা অবস্থা দেখতে যাচ্ছেন সরেজমিনে।
ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওল্ড ও নিউ দিঘা (Digha)। গুঁড়িয়ে গিয়েছে সমস্ত দোকানপাট। দোকানের শাটার ভেঙে চলে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বিপুল টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন সাহায্য করা হবে ব্যবসায়ীদের। তবে সবটাই নিয়ম মেনে, পরিকল্পনা করে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। তারা চাইছে না এমন কিছু ঘটনার জেরে ফের কোটি টাকায় সাজানো সৈকত শহর সমুদ্রের জলে চলে যাক। বিশেষ করে যেভাবে মন্দারমণি সমুদ্রের গর্ভে চলে গেছে সেটা চিন্তায় রেখেছে রাজ্য সরকারকে। তাহলে কি নিয়ম মেনে কোনও কাজ হয়নি?
এর আগেও একাধিকবার সমুদ্র তটে মন্দারমণির একাধিক হোটেল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যেভাবে মন্দারমণির হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হল তাতে নিয়ম না মানার কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে দীঘার জন্যে আলাদা করে প্যাকেজের দাবি তুলেছেন। দীঘার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছেন ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে নোনা জল ঢুকে যাওয়ায় ২৬১ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৬টি বাঁধ। ১৯৫২ কিমি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। মাছের ক্ষতি হয়েছে ৫০০ কোটির টাকা। বিদ্যুৎ দফতরে ক্ষতির হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। প্রায় ৫০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। ২৫ হাজারের বেশি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুল ও অঙ্গনওয়ারি মিলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকার খড়গপুর আই আই টি ও সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা নিয়েই যাবতীয় কাজ করা হবে।