স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর – দেখে নিন

April 22, 2020 | 2 min read

বিশ্বজুড়ে করোনা ত্রাসে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। সকলেই চিন্তায়। ঘরবন্দি অবস্থায় ভয় যেন আরও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায়, বিশেষজ্ঞরা উত্তর দিচ্ছেন আপনাদের মনে উদ্রেক হওয়া প্রশ্নের।


প্রশ্ন: কোথাও থেকে ফেরার পর জুতো কি স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন?

উত্তর: জুতোর সোলে ভাইরাস থাকা অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু তা থেকে দেহে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। যদি মনে হয়, ওয়াশেবল জুতো ধুয়ে ফেলতে পারেন। স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার মোটেই করবেন না, কারণ যে কাপড় বা তুলোয় স্যানিটাইজার লাগিয়ে পরিষ্কার করছেন, তা থেকে আপনার হাতে জীবাণু লাগার সম্ভাবনা বেশি। তার চেয়ে ভালো, বাড়ির ভিতরে জুতো ঢোকাবেন না। বাড়িতে যদি হামাগুড়ি দেওয়া বাচ্চা বা অসুস্থ কেউ থাকেন, তা হলে বাড়ির ভিতরে জুতোর ব্যবহার বন্ধ রাখাই ভালো


প্রশ্ন: বাড়ির বাইরে হাঁটা বা শরীরচর্চা কতটা নিরাপদ?

উত্তর: কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বক্তব্য, অন্য ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে বাইরে বেরিয়ে হাঁটা বা শরীরচর্চা করতেই পারেন। সংক্রামিত কারও শ্বাস বা কথা বলার সময় নিঃসৃত ড্রপলেট বাতাসে নিমেষে মিলিয়ে যায়, ফলে ভিড় জায়গায় না গিয়ে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে বাইরে যেতেই পারেন, সেক্ষেএে ফিরে পোশাক বদলেরও প্রয়োজন নেই


প্রশ্ন: বাড়িতে আসা ক্যুরিয়ার, পার্সেল বা সংবাদপত্র থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে?

উত্তর: ক্যুরিয়ারে আসা কিছু, প্যাকেজ বা সংবাদপত্র থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। সংবাদপত্র থেকে কারও সংক্রমণ ঘটেছে, এমন কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলেনি
প্রশ্ন: কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসে ভাইরাসের অস্তিত্ব কতক্ষণ?
উত্তর: ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে’র সমীক্ষা বলছে, শক্ত, ধাতব বা প্লাস্টিকের কোনও বস্তুর উপর ভাইরাস তিন দিন অবধি থাকতে পারে। কার্ডবোর্ডে থাকতে পারে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কাপড়ের উপর আলাদা করে কোনও পরীক্ষা না হলেও কার্ডবোর্ড থেকে কাপড়ে ভাইরাস লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটা যদি হয়, কাপড়ে ভাইরাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারবে না। ২০০৫ সালে সার্সের ভাইরাস নিয়ে করা একটা পরীক্ষা এই দাবিকে আরও জোরদার করে। সার্সের ভাইরাস লোড কাগজ এবং সুতির গাউনের উপর ফেলে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, কম ভাইরাস লোড পাঁচ মিনিট, মধ্যম মাত্রার ভাইরাস লোড তিন ঘণ্টায় আর প্রচুর ভাইরাস লোডও ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কাগজ ও কাপড়ে ভাইরাসের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলার গতি সবচেয়ে বেশি


প্রশ্ন: কাপড়-জামার স্বাভাবিক কাচাকাচি কি যথেষ্ট? কাপড় ঝাড়লে, তা থেকে কোনওভাবে বাতাসে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে কি?

উত্তর: করোনাভাইরাসের চারপাশে রয়েছে ফ্যাটি মেমব্রেন, যা সাবানে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সাধারণ লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে জামাকাপড় ধোয়া ও শুকিয়ে নেওয়া যথেষ্ট। বাড়িতে অসুস্থ ব্যক্তি থাকলে তাঁর জামাকাপড়ও অন্যদের জামাকাপড়ের সঙ্গে একসঙ্গেই কাচতে পারেন, তবে একটু বেশিক্ষণ ড্রায়ারে রাখতে হবে। এর ফলে ভাইরাস থাকলেও তা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এই ভাইরাস কাপড়ের থেকে স্টিল বা প্লাস্টিকের মতো কঠিন জিনিসে বেশিক্ষণ থাকে, ফলে, কাপড় থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম


প্রশ্ন: চুল বা দাড়ি থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কতটা?

উত্তর: যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয়, তবে চুল বা দাড়ি থেকেও সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই। কেউ যদি আপনার মাথার পিছনে হাঁচে বা কাশে, আর তাতে যদি চুলে ড্রপলেট পড়েও, তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর মতো নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাইরাস থাকতে হবে। আপনি যদি চুলের সেই অংশে হাত দেওয়ার পর আপনার মুখের কোনও অংশ স্পর্শ করেন, তা হলেও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কারণ ততক্ষণে চুলের ওই অংশে আর ততটা ভাইরাস থাকবে না

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#IndiaFights Corona, #covid19

আরো দেখুন