মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াইয়ে সুফল নিচুতলায়

সরকারের কড়া পদক্ষেপে উজ্জীবিত এলাকার বহু দরিদ্র মানুষ। অনেকের আবার অভিযোগ, তিন-চার বছর আগে তাঁদের নামে ডিজিটাল রেশন কার্ড অনুমোদিত হয়েছে বলে তথ্যমিত্র কেন্দ্র থেকে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সেই কার্ড ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পাননি।

April 22, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে লকডাউনে রেশন দোকানের ঝাঁপ না-খোলার অভি়যোগ উঠেছিল সবংয়ের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নির্ধারিত নিয়মে দোকান খোলেননি তিনি। অথচ গুদামে চাল-ডালের মজুত খাতায়কলমে দেখানো হিসেবের চেয়ে কম! নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক তথা রেশন ডিলারের দোকানটিকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি শুনানিও সেরে ফেলেছে খাদ্য দপ্তর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সরকারের তৎপরতায় উজ্জীবিত গ্রামবাসীরা রেশন সংক্রান্ত নানা অভিযোগে অকপটে দ্বারস্থও হতে শুরু করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের। রেশন-সংক্রান্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সময়োচিত দাওয়াই যে নিচুতলায় সুফল দিতে শুরু করেছে, তা সবংয়ের মতো পশ্চিম মেদিনীপুরেরই একাধিক ঘটনায় স্পষ্ট। গত সপ্তাহেই রেশন ব্যবস্থাকে ঝাঁকুনি দেন মুখ্যমন্ত্রী। রেশন-সামগ্রী বণ্টনে গাফিলতি হলে কাউকেই রেয়াত করবেন না-বলে জানিয়ে দেন। দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতাদের মাতব্বরিও সহ্য করা হবে না বলে তাঁর বার্তা ছিল স্পষ্ট।
সরকারের কড়া পদক্ষেপে উজ্জীবিত এলাকার বহু দরিদ্র মানুষ। অনেকের আবার অভিযোগ, তিন-চার বছর আগে তাঁদের নামে ডিজিটাল রেশন কার্ড অনুমোদিত হয়েছে বলে তথ্যমিত্র কেন্দ্র থেকে জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সেই কার্ড ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পাননি। খাদ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘আমি সব ধরনের অভিযোগ, আবেদন খতিয়ে দেখছি। কার্ড-সঙ্কটে রেশন না-পাওয়া কেউ যদি ফোন করেন, আপৎকালীন রেশনের ব্যবস্থা করে দেব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen