উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতিকরণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত শিলিগুড়িতে

June 4, 2021 | 2 min read

শিলিগুড়িতে (Siliguri) পানীয় জলের (drinking water) সঙ্কট দীর্ঘদিনের সমস্যা। এর আগের বোর্ড বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা মেটাতে পারেনি। এবার করোনা মোকাবিলায় অগ্রাধিকারের পাশাপাশি শহরে পানীয় জল সমস্যার দ্রুত সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে শিলিগুড়ির পুর প্রশাসক বোর্ড। সেই মতো পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতিকরণে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরজুড়ে বসানো হচ্ছে ১৭টি ডিপ টিউবওয়েল।

শিলিগুড়ির বর্তমান পানীয় জল প্রকল্পটি ২৫ বছরেরও বেশি পুরনো। ফলে সেটি আর কতদিন পরিষেবা দিতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অলোক চক্রবর্তী বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় দিনের পর দিন পলি জমে জমে ওই প্রকল্প নষ্ট হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। ৫ হাজার মানুষের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই জল প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শহরের জনসংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে জলের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের নাগরিকদের পানীয় জল পরিষেবায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে আমরা ১৭টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানের জন্য গজলডোবা থেকে জল এনে পরিস্রুত করে বিকল্প প্রকল্পেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তা কার্যকর করার ব্যাপারে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই প্রকল্প যতদিন না হচ্ছে, ততদিন শহরবাসীর পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ১৭টি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে। মূলত শহরের যেসব এলাকায় জল সরবরাহ লাইনে গতি কম, সেখানেই ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। এ জন্য ওই ১৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে মাটির গভীর থেকে জল তুলে সরাসরি বর্তমান জল সরবরাহের লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। তাহলে ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি জলের গতি বাড়বে। পানীয় জল প্রকল্পের পাম্প হাউসগুলিতে জেনারেটর না থাকার জন্যও মাঝেমধ্যে শহরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে একদিন কখনওবা একাধিক দিন জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সমস্যা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে পাম্প হাউসগুলিতে এবার জেনারেটর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে অলোকবাবু জানান। তিনি বলেন, শীঘ্রই এসব কাজ শুরু হবে। জেনারেটর বসে গেলে বা বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলেও পাম্প হাউস চালু থাকবে। ফলে জল সরবরাহে কোনও বিঘ্ন ঘটবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#drinking water, #siliguri

আরো দেখুন