বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল ফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক
জোট গঠনের ক্ষেত্রে যেভাবে সিপিএম (CPM) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বামফ্রন্ট রাখার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। তাই বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল ফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক (All India Forward Bloc)। আলিমুদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁদের মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। শনিবার বামফ্রন্টের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে আপাতত ছোট শরিককে আশ্বস্ত করেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
গত মাসের মাঝামাঝি ভোটে বিপর্যয়ের কারন অনুসন্ধানে বৈঠকে বসে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। শরিকদের তোপের মুখে পড়ে তখনকার মতো পিছু হটে আলিমুদ্দিন। তখনই বামফ্রন্টের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ফ্রন্টের দুই ছোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি। বড় শরিকের দাদাগিরি মনোভাব চলছেই বলে অভিযোগ তোলে ছোট শরিকরা। জোটের বিপর্যয়ের কারণে সিপিএমকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করান হয়। জোট গঠন ও আসন ভাগাভাগির সময় শরিকদের অন্ধকারে কেন রাখা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে শরিকরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সভা অসমাপ্ত রেখে শেষ করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান। ফ্রন্টের শরিকরা আলাদা আলাদা করে পর্যালোচনা শেষ করার পরই বামফ্রন্টের বৈঠক হবে বসে জানান তিনি।
আগামীকাল শনিবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেছেন বিমান বসু। খবর পেয়েই তেলেবেগুনে চটে যায় ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। যেভাবে ভোটে ভরাডুবি হয়েছে তাতে বামফ্রন্ট রাখার প্রয়োজন নেই বলে আলিমুদ্দিনকে জানিয়ে দেয় নেতাজির পার্টির নেতারা। ফোনে দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বৈঠকে হাজির থাকার বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়ে দেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে। এরপরই ফ্রন্টের এই শরিককে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার আহ্বান জানান বিমান বসু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে সিপিএমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন নরেনরা। অনেক সিপিএম নেতা-কর্মী ভোটের দিন পর্যন্ত বাড়িতে বসে থেকেছে। অভিযোগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব বলে খবর আলিমুদ্দিন সূত্রে। ফ্রন্টের নিচুতলাতেই যদি ঐক্য গড়ে না ওঠে তাহলে ফ্রন্ট ভেঙে দেওয়া হোক। ফব নেতারা এমনই দাবি জানান বলে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত শনিবার বামফ্রন্টের বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা হবে বলে শরিক নেতৃত্বের ক্ষোভ সামাল দেন বিমান বসুরা।