কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

এক কোটি ডোজ বাংলার হাতে, জুনে কমপক্ষে ২ লক্ষ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্য

June 4, 2021 | 2 min read

টিকা নিয়ে হাহাকারের দিন কি শেষ হতে চলেছে? অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলেছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কথায়। জুনে বাংলায় টিকাকরণের গতি অনেকটাই বাড়বে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে হাতে থাকবে প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন ডোজ। এর মধ্যে ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠাচ্ছে ৪২ লক্ষ ডোজ। আসছে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য ২২ লক্ষ ডোজও। এই টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছে রাজ্য। সরাসরি সিরাম ও ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে মে মাসে কেনা প্রায় ১৬ লক্ষ টিকার বড় অংশ এ মাসেও হাতে থাকছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের। আবার এ মাসেও তারা প্রায় সমপরিমাণ ডোজ কিনছে। 


স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ না হলেও কিছু কিছু করে টিকা ঢোকার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের ৪২ লক্ষের মধ্যে পাঁচ লক্ষ ডোজ বুধবারই ঢুকেছে। মে মাসের বকেয়া প্রায় আড়াই লক্ষ ডোজও এসেছে। ৬ জুন কেন্দ্র আরও কিছু টিকা পাঠাবে। ৯ জুন আসছে রাজ্যের কেনা টিকার কিছুটা অংশ (সেদিন প্রধানত কোভ্যাকসিন)। তারপর ১১ জুন থেকে বড় কনসাইনমেন্টে রা঩জ্যের কেনা টিকা ঢুকে পড়ছে শহরে। নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্যেমে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে জেলায় জেলায়। ফলে যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই দু’টি সুখবর হল— এক, রাজ্যে আসছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় ৯১ শতাংশ সাফল্যযুক্ত রাশিয়ান টিকা স্পুটনিক ভি। এই টিকা কেনা নিয়ে ডাঃ রেড্ডিস ল্যাবরেটরির সঙ্গে রাজ্যের একাধিকবার কথা হলেও, এখনও চূড়ান্ত হয়নি। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চলে আসছে স্পুটনিক।

এক কর্পোরেট হাসপাতালের সিইও রাণা দাশগুপ্ত বলেন, আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যেই স্পুটনিক আসছে তাঁদের হাসপাতালে। দ্বিতীয় সুখবর হল, বুধবারই রাজ্য দেড় কোটি টিকা (১ কোটি ৫১ লক্ষ ৮১ হাজার ২০) দেওয়া সম্পূর্ণ করেছে। প্রথম ডোজ পেয়েছেন কোটির বেশি মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩৯ লক্ষ। বুধবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্যের হাতে এখন প্রায় ১৫ লক্ষ টিকা রয়েছে। বৃহস্পতিবারের পরও হাতে থাকবে প্রায় ১৩ লক্ষ। রাজ্যের ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে বিভিন্ন পেশাজীবীর সংখ্যা সরকারভাবি প্রায় ৩০ লক্ষ। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্য হেলথ ডায়রেক্টরেটের টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার বলেন, এ মাসে টিকাকরণে অনেকটাই গতি আসবে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে রাজ্যের হাতে প্রায় এক কোটি ডোজ থাকবে। আমরা প্রতিদিন ন্যূনতম দু’লক্ষ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengal, #covid vaccine

আরো দেখুন