হোয়াটসঅ্যাপাইটিসে আক্রান্ত কি আপনি?
ক্রমাগত চ্যাটের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে দানা বাঁধছে রোগ। বুড়ো আঙুল দিয়ে যত বেশী কথার প্রকাশ তত সম্ভাবনা বাড়ে অসুখে আক্রান্ত হওয়ার। টানা টেক্সটিংয়ে হাতের কবজি থেকে বুড়ো আঙুল জর্জরিত হতে পারে ব্যথায়। আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপাইটিসে।
হোয়াটসঅ্যাপ চাউ আঙুলের টাচে। আর সেই সুবাদেই দীর্ঘসময় ফোনে মুখ গুঁজে টাইপ করাই অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। ট্রেন-বাস যে কোনও জায়গায় এখন এটাই কথোপকথনের মাধ্যম। ডিজিটালি স্মার্ট দুনিয়ায় এই অভ্যাসে আসক্ত আট থেকে আশি। আর এই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার কেন্দ্রিক জীবনের কারণেই গজিয়ে উঠছে নতুন অসুখ। যার নাম হোয়াটসঅ্যাপাইটিস।
এই রোগের উপসর্গ কী?
১. কবজির বাইরের দিক বা বুড়ো আঙুলের দিক ব্যথা কিংবা আড়ষ্টতা
২. বুড়ো আঙুলের ভিতরের দিকে ব্যথা বা ফুলে ওঠা
৩. হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে নানা সমস্যা
৪. বুড়ো আঙুলে জ্বালা জ্বালা ভাব, সঙ্গে ব্যথা
৫. এই ব্যথা দু’হাতের বুড়ো আঙুলেই হতে পারে, কারণ অনেকেই বড় স্মার্টফোন দু’হাতে ধরে মেসেজ টাইপ করেন।
চিকিৎসার পদ্ধতি
যাদের হাতে এই ধরনের ব্যথা প্রকাশ পেয়েছে তাঁদের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী ব্যথার ওষুধ খেতে হবে। ঠান্ডা সেঁক দিলে উপকার। ক্রনিক সমস্যায় লেজার বা আল্ট্রাসোনিক থেরাপি করা যেতে পারে। অনেকসময় পেশীতন্তুর আবরণে ইনজেকশন দেওয়া হয়। খুব বাড়াবাড়ি হলে অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে।
এই রোগ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
১. স্মার্ট ফোনের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। অল্প বা প্রয়োজনে টেক্সট করা যেতে পারে তবে অতিরিক্ত সবকিছুই যেমন ক্ষতিকর তেমনই হোয়াটসঅ্যাপ করলেও ক্ষতি।
২. খুব দরকার হলে ইয়ার ফোন ব্যবহার করে ভয়েজ মেসেজ পাঠান বা ফোনে কথা বলুন।
৩. ট্যাব বা মোবাইলে যাঁরা বেশী টেক্সট করেন তাঁদের নিয়মিত হাত ও কবজির ব্যায়াম করতে হবে। হাত ও কবজিকে বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে ব্যায়াম করুন।
৪. হাতের গ্রিপ স্ট্রেন্দেনিং এক্সারসাইজ করলে উপকার মেলে। যেমন-হাতে মেডিসিন বল ধরে মুঠো করে চাপা ইত্যাদি।
৫. টেক্সটিং করার সময় কখনও কখনও ফোন হাতে না ধরে কোনও টেবিলের উপর রেখে অন্য আঙুল বা তর্জনী দিয়ে টাইপ করুন। এতে বুড়ো আঙুলের উপর চাপ কম পড়বে।