স্টাফ স্পেশালে সরকারি নার্সকে হেনস্তার অভিযোগ উঠল আরপিএফের বিরুদ্ধে
স্টাফ স্পেশালে এক সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীকে (nurse) হেনস্তার অভিযোগ উঠল আরপিএফের (Rpf ) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ডিউটিতে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়োতে ওই নার্স রেল কর্মীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েছিলেন। সেখানে আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে ধরলে তিনি ভুল স্বীকার করে নেন এবং পরিচয়পত্র ও টিকিট দেখান। তাসত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন আরপিএফ কর্মীরা। এমনকী, সোনারপুর স্টেশনে তাঁকে ট্রেন থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হয়। কয়েকঘণ্টা তাঁকে সোনারপুরে আরপিএফ অফিসে বসিয়ে রেখে শিয়ালদহ রেল আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ৭০০ টাকার বন্ডে মুক্তি পান তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে আবার আরপিএফ অফিসে গিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। এর জেরে ওই স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে শুক্রবার ওই নার্স রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর ও শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন।
বারুইপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তনুশ্রী চৌধুরী কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালের নার্স। প্রতিদিনের মতো ওইদিন সকালে আপ ডায়মন্ডহারবার স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ধরতে তিনি বারুইপুর স্টেশনে যান। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের জন্য বরাদ্দ কামরায় অত্যধিক ভিড় ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ডিউটি থাকায় তাড়াহুড়োয় ভুল করে অন্য কামরায় উঠে পড়েছিলাম। কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীকে প্রমাণপত্র দেখানোর পরেও আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। কথা বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। এরপর সোনারপুর স্টেশনে আমাকে জোর করে ট্রেন থেকে নামানো হয়। এমনকী, চাপ দিয়ে বয়ানও লেখানো হয়। কেড়ে নেওয়া হয় পরিচয়পত্র। তাঁর স্বামী পুলিস কর্মী তন্ময়বাবু আরপিএফের এই কাজে তিতিবিরক্ত। তিনি বলেন, একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে পুলিস এইভাবে হেনস্তা করবে ভাবিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন আমার স্ত্রী।