বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

লকডাউনে অনাথ শিশুদের বন্ধু সীমান্তরক্ষীরা

April 22, 2020 | < 1 min read

সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শব্দের আক্ষরিক অর্থ হয়তো বোঝে না ওরা। কিন্তু জানে, এই সময়টা গা ঘেঁষাঘেঁষি না করলে আর বারবার হাত না-ধুলে রাক্ষুসে করোনা ওদের টিকিও ছুঁতেও পারবে না। শহুরে জনতাকে যখন হাজার বুঝিয়েও ব্যর্থ হয়ে হতাশ রাজ্যের পুলিশবাহিনী, তখন উত্তরবঙ্গের অজ পাড়া গাঁয়ের এক অনাথ আশ্রমের খুদে আবাসিকদের করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে সফল হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম মস্তৈল। মহীপাল সংলগ্ন এই গ্রামেই রয়েছে ‘নীলকণ্ঠ স্বর্গ আশ্রম’। ৩৭টি শিশুর আশ্রয়স্থল এই অনাথ আশ্রম। ৫ বছর থেকে ১৪ বছর নানা বয়সের শিশু-কিশোররা থাকে এখানে। কারও সাত কূলে কেউ নেই, কারও মা স্বামী পরিত্যক্তা আবার কারও বাবা-মা দু’জনেই থাকলেও, সন্তানকে খাওয়ানোর সাধ্য নেই।

অনাথ আশ্রমের কাছেই সাটিমারি সীমান্ত। সেখানকার উর্দিধারী জওয়ানদের তরফে নিয়মিত সহায়তা আসে এই আশ্রমে। হেড অফিস কর্ণজোড়া থেকেও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসেন বিএসএফ জওয়ানরা। ৫০ কিলো চাল, ১০ কিলো ডাল, ১৫ কিলো আটা, ৫০ কিলো আলু, সয়াবিনের প্যাকেট, বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বিএসএফ জওয়ানরা আবাসিকদের ভালো করে বুঝিয়ে দেন, বারবার হাত ধুতে হবে। নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আর পরতে হবে মাস্ক। তা হলেই করোনাকে রোখা যাবে।

শুধু আশ্রমেই সীমাবদ্ধ নেই সচেতনতার বার্তা। অনাথ আশ্রমের পক্ষ থেকে গ্রামেও সচেতন করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গাঁয়ের সকলেই যাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলেন, তা বোঝানো হচ্ছে। ফলে এখন গ্রামে সব চায়ের দোকান বন্ধ। বসছে না আর হাটও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lockdown, #orphans, #border guards

আরো দেখুন