প্রধানমন্ত্রী দেরীতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বহু মানুষের প্রাণ গেল, টিকাকরণ নিয়ে তোপ মমতার
সমস্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এবার প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পালটা টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি লিখেছেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি এবং তার পরেও বহুবার বিনামূল্যে সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর ৪ মাস লাগল। আমাদের দীর্ঘদিনের এই দাবি শেষমেশ তিনি শুনলেন।’
এখানেই শেষ নয়, টুইটে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মহামারীর শুরু থেকেই মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেরীতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বহু মানুষের প্রাণ গেল। আশাকরছি এবার টিকাকরণের কাজ সঠিকভাবে হবে যাতে মানুষের ভালো হয়, নির্দিষ্ট কোনও প্রোপাগান্ডার জন্য টিকাকরণ হবে না বলে আশা করছি।’
প্রসঙ্গত, সমস্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। অর্থাৎ ১৮ ঊর্ধ্ব সমস্ত দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করবে মোদী সরকার। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বড় ঘোষণা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, ‘সমস্ত রাজ্যকে টিকা কিনে বিনামূল্যে সরবরাহ করবে কেন্দ্র।’ ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সব নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনের জন্যে আলাদা করে আর কোনও টাকা খরচ করতে হবে না।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বারবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের তরফে করোনা টিকা কিনে রাজ্যগুলিকে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন,’দরিদ্র-উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্ত সমস্ত দেশবাসীকেই বিনামূল্যে টিকা দেবে সরকার।’ রাজ্যের আর্জি মেনেই সমস্ত রাজ্যকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তবে টিকা বণ্টন ও তাতে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বলেই জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।