এবার ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কলকাতায়, ফোন করলেই বাড়িতে মিলবে টিকা
আগামী ২১ জুন থেকে সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা (Covid Vaccine) দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আজ তো সবে ৮ জুন। বাকি ১৩ দিন তাহলে মানুষ টিকা পাবে না? বাংলাজুড়ে এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এলো কলকাতা পুরসভা। এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ফোনে যোগাযোগ করলে বাড়ি–বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে পারেন পুরকর্মীরা। এই উদ্যোগ একেবারেই অভিনব বলে মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা। আর তাই ‘ভ্যাকসিন অন কল’ প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। অর্থাৎ বলা যেতে পারে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই শহরে দেখা দিয়েছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইলস’, ‘ভ্যাকসিন ইন ড্রাইভিং’ থেকে শুরু করে নানা করোনার টিকা কর্মসূচি। এবার তা চালু হল নিউটাউনেও।
এই বিষয়ে পুরসভার (KMC) মুখ্যপ্রশাসক তথা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকার চাহিদা মেনে রাজ্যকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। তাই দৈনিক ৫০ হাজারের পরিকাঠামো তৈরি করেও মানুষকে টিকা দিতে পারছি না। যদি পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাই তবে ভবিষ্যতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভাষণে তো উনি অনেক কিছু বলেন, সেগুলি কার্যকর হয় না। কবে পাঠাবেন, কীভাবে দেবেন কিছু বলেননি।’
ইতিমধ্যেই ৬০ উর্দ্ধ প্রবীণ নাগরিক থেকে সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পুরসভা। প্রায় ২১ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু ৬০ উর্দ্ধ প্রবীণ নাগরিক এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা পুরসভার ভ্যাকসিন সেন্টারে এসে টিকা নেননি। তাই প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের কথা মাথায় রেখে পুরসভা বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুরসভার হেলথ সেন্টার ছাড়াও বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে গত বছর থেকেই আবাসন, বাজার ও ক্লাবে গিয়ে করোনা পরীক্ষা চালু করেছে পুরসভা। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কিনতে পাচ্ছি না। যেহেতু কম পাচ্ছি তাই সেন্টারে আসা সুপার স্প্রেডারদের আগে দেব, পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) হকারদের জন্য দুয়ারে ভ্যাকসিনের সুবিধা চালু করেছে। এনকেডিএ সূত্রে খবর, এডি ব্লকের বাজারের ব্যবসায়ীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। এরপরে কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরা চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে যান ডিএলএফ চত্বরে। সেখানকার খাবারের স্টল এবং অন্যান্য হকারদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রথমদিনের কর্মসূচি বলে সংখ্যাটা খানিকটা কম। তবে আগামীদিনে দুয়ারে ভ্যাকসিনে টিকা প্রাপকের সংখ্যা বাড়বে।