ডুয়ার্সে দ্রুত গতিতে চলছে ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প
এবারের বিধানসভা ভোটে ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের বিষয়ে যে কতটা আন্তরিক, তার প্রমাণ করোনা পরিস্থিতিতেও চা সুন্দরী প্রকল্পে থেমে নেই শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির কাজ। রাজ্য সরকার যে চা শ্রমিকদের পাশে রয়েছে, দিন কয়েক আগে কালচিনি ব্লকের বন্ধ তোর্সা চা বাগান খুলে দিয়ে আরও একবার সেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার জেলায় পাঁচটি বাগানে চা সুন্দরী প্রকল্পে শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই পাঁচটি বাগানের মধ্যে মাদারিহাট ব্লকে রয়েছে মুজনাই, রহিমপুর, বন্ধ ঢেকলাপাড়া ও লঙ্কাপাড়া। আর কালচিনি ব্লকে রয়েছে তোর্সা চা বাগান।
ব্লক প্রশাসন ও ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগেই পাঁচটি বাগানের ৩ হাজার শ্রমিক পরিবারের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতিতেও প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। ৩ হাজার ঘরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। প্রশাসন জানিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সরাসরি চা সুন্দরী প্রকল্পে এই ঘর তৈরির কাজ চলছে।
ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে চা সুন্দরী প্রকল্পে শ্রমিকদের ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। মাঝে ভোটের জন্য ঘর তৈরির কাজ কিছুটা থমকে যায়। কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই পাঁচটি বাগানে চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ডিপার্টমেন্টের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মিহির সরকার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও চা সুন্দরী প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চা শ্রমিকদের এই প্রকল্পে দু’টি শোওয়ার ঘর, একটি বারান্দা, শৌচাগার ও রান্নাঘর তৈরি হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি ও বর্ষার মধ্যেও যেভাবে ঘর তৈরির কাজ চলছে, তাতে উপভোক্তারা খুশি। কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, ব্লকের তোর্সা চা বাগানে চা সুন্দরী প্রকল্পের কাজ চলছে। নির্মাণকারী সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে। চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের বিষয়ে মানবিক। তাই ভোটে চা শ্রমিকরা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও রাজ্য সরকার তাঁদের পাশেই রয়েছে। ঘর তৈরির কাজই তার বড় উদাহরণ।