বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে মালদহে চালু ‘দুয়ারে আম’
এবার ‘দুয়ারে আম’ (Duare Aam) সরবরাহ ব্যবস্থা চালু মালদহে (Malda)। সুস্বাদু কার্বাইডমুক্ত মালদহের আম এবার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে জুটি বাঁধল রাজ্যের সুফল বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের আম গবেষণা সংস্থা। ল্যাংড়া, হিমসাগরের মতো সুস্বাদু জনপ্রিয় আমের পাশাপাশি নাক্কুভোগ, মিঠুয়া, মধু রেশমির মতো বিস্মৃতপ্রায় আম ক্রেতারা পাবেন ঘরে বসেই। প্যাকেজিংয়ের অতিরিক্ত মূল্য ছাড়া বাজার দরেই পাওয়া যাবে ওইসব আম। স্বাদে ও গন্ধে এসব আম অনেকটাই এগিয়ে, দাবি দুই সংস্থার। তবে শুধু আম নয়, লিচু এবং সর্ষের মধুও ঘরে ঘরে সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আম উৎপাদন এবং তা পাকানোর কাজে রয়েছে আদিবাসী মহিলাদের দু’টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী।
মালদহে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব সাব ট্রপিক্যাল হটিকালচার বা সিআইএসএইচের স্টেশন ম্যানেজার বিজ্ঞানী দীপক নায়ক জানিয়েছেন, একটি অনলাইনে ফর্ম পেয়ে যাচ্ছেন আমপ্রেমীরা। ওই ফর্মে নিজেদের ফোন নম্বর, ঠিকানা দিয়ে সহজেই আমের অর্ডার দিতে পারবেন ক্রেতারা। প্যাকেটজাত হয়ে দ্রুত আম পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বাড়িতে।
দীপকবাবু বলেন, দু’টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী আম উৎপাদনের দায়িত্ব নিয়েছে। আমে কার্বাইডের মতো কিছু ব্যবহার করা হয়নি। ফলে আমের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়াও লিচু ও সর্ষে থেকে উৎপন্ন মধু সরবরাহ করা হচ্ছে। সুফল বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাজারের দাম থেকে এই আমের খরচ খুব বেশি নয়। শুধুমাত্র প্যাকেজিং খরচ অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে সুরক্ষিতভাবে এই আম ও মধু ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এজিনা সোরেন, সারদা বেসরা প্রমুখ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বক্তব্য, এই আম গবেষণা কেন্দ্র আমাদের জন্য রোজগারের পথ খুলে দিয়েছে। অনেক জায়গা থেকেই আমের অর্ডার আসতে শুরু করেছে। তাঁদের বক্তব্য, স্বাদে ও গন্ধে ক্রেতাদের মন জয় করছে এই আম।সুফল বাংলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০০ মিলি লিচুর মধুর দাম ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা। ওই পরিমাণ সর্ষের মধু মিলছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ল্যাংড়া বা হিমসাগর আমের চার কেজির প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ টাকায়। নাক্কুভোগ, মিঠুয়া বা মধু রেশমী প্রজাতির আমের চার কেজির প্যাকেটের দাম ধরা হয়েছে ১১০ টাকা। বাজারে না গিয়েই ঘরের দরজায় উন্নতমানের আম পাওয়ায় খুশি অনেকেই। পুড়াটুলির বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সিংহ বলেন, বাজারে গিয়ে সবার পক্ষে স
ঠিক আম বেছে নেওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়াও গুণমান বিচার করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এবার কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা ও সুফল বাংলা আম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় ক্রেতাদের উপকার হল।