ফের কোটালের ভ্রুকুটি, তৈরি কলকাতা পুরসভা
ঘূর্ণিঝড় যশের হাত থেকে বেঁচেছিল কলকাতা। যদিও তার অভিঘাতে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যত প্লাবন হয়। সপ্তাহ দুয়েক পর ফের শহর ভাসার আশঙ্কা। আগামী ১১ থেকে ১৪ জুন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। একই সময়ে ১১ জুন রয়েছে ভরা কোটাল। সতর্ক থাকতে বলেছে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে কোমর বাঁধছে কলকাতা পুরসভাও।
মঙ্গলবার, শহরের বিভিন্ন নিকাশি খাল এবং পাম্পিং স্টেশনগুলি পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তারক সিং। পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক সারেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমও। নিকাশি বিভাগ জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় সামলাতে যা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, সবটাই এবারও থাকছে। এক কর্তার কথায়, এমনিতেই ১ জুন থেকে বর্ষার জন্য বাড়তি আয়োজন থাকে। একদিকে ভারী বৃষ্টি এবং অন্যদিকে ভরা কোটাল। ফলে নির্দিষ্ট সময় গঙ্গার লকগেট বন্ধ থাকলে শহরে কয়েকটি অঞ্চলে যথেষ্ট জল জমে। কালীঘাট, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, আলিপুর বডিগার্ড লাইন, চেতলা লকগেট সহ উত্তর কলকাতার একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন হয়। আবার গঙ্গার জলস্তর কিছুটা নেমে গেলে লকগেট খুলে দিলে দ্রুত শহরের জল বেরিয়ে যায়। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এবারেও খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই দাবি করেছেন তারক সিং। তিনি বলেন, পুরসভা প্রস্তুত। প্রত্যেকটি বরোতে আলাদা টিম তৈরি থাকছে। ওই কয়েক দিনের জন্য নিকাশি বিভাগের শ্রমিকদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি পাম্পিং স্টেশনকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে শুধু ১১ থেকে ১৪ জুন নয়। আগামী ২৬ ও ২৭ জুনও গঙ্গায় বান আসবে। ফলে চলতি মাসভর বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে আলোক বিভাগকে। জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে এমন জায়গাগুলিতে জল না নামা পর্যন্ত বাতিস্তম্ভ এবং ফিডার বক্সের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হবে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার অসহায় পরিবারদের আগে থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সে সব ছাড়াও যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে।