করোনার জের, ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করল বুক মাই শো
করোনা মহামারীর কোপে ফের একবার ‘বুক মাই শো’-র কর্মীরা। অনলাইনে কোনও ইভেন্ট বা সিনেমার টিকিট বুকিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু আপাতত দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে সেসব কিছুই বন্ধ আছে। ফলে লোকসানের মুখ দেখছে ‘বুক মাই শো’। অগত্যা কর্মী ছাঁটাই। ২০০ কর্মীকে বসিয়ে দেওয়ার কথা জানালেন ‘বুক মাই শো’-র CEO এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিস হেমরাজানি। গত বছর (২০২০) মে মাসেও প্রায় ২৭০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছিল, যা ছিল তাঁদের মোট কর্মীর ১৮.৬ শতাংশ। হেমরাজানি ‘বুক মাই শো’-র সমস্ত কর্মীকে ধন্যবাদ জানালেন কোম্পানির এই খারাপ সময়ে পাশে থাকার জন্য। এবং ছাঁটাই হয়ে যাওয়া কর্মীদের জন্য নতুন চাকরির আবেদন জানালেন টুইটারে।
Bigtree Entertainment-র সিইও আশিস হেমরাজানি তাঁর টুইটে লিখলেন, আজ যাঁদের না-করে দিতে বাধ্য হলাম তাঁরা প্রত্যেকে আমাকে ব্যক্তিগত মেসেজে ধন্যবাদ জানিয়েছে ‘বুক মাই শো’ ব্র্যান্ডে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। কোভিড ১৯ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে গেল আর আজও কিছু শিখলাম। বাধ্য হলাম আমার ২০০ জন অত্যন্ত প্রতিভাবান ও কর্মঠ কর্মচারীকে না-বলে দিতে। তবুও তাঁরা আমায় ধন্যবাদ জানাল ‘বুক মাই শো’-র সঙ্গে কাজ করতে পেরে। শুধু তাই নয়, আমাকে কোনওরকম সাহায্য করতেও তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
আশিস আরও লেখেন, এই ২০০ কর্মী গত কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে আমার কাছে কাজ করেছে। অনেক কিছু শিখেছে। কারও কাছে যদি এঁদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ থাকে, আমাকে সরাসরি জানান। আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
২০০৭ সালে Sydenham Institute of Management-র প্রাক্তনী আশিস হেমরাজানি, রাজেশ বালপাণ্ডে এবং পরীক্ষিত ধর ভারতবাসীকে পরিচিত করান অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে। বর্তমানে ১৪ বছর পর শুধু সিনেমা নয়, এশিয়াতে আয়োজিত থিয়েটার-সহ যে কোনও অনুষ্ঠান বা কনসার্টের টিকিট অনলাইনে বুক করা সম্ভব BookMyShow থেকে।