কৃষ্ণনগরে থেকেই প্রার্থী হবেন মুকুল পুত্র? জল্পনা
বাবা মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কি বাবার বিধানসভা আসনে সম্ভাব্য উপনির্বাচনে জোড়াফুলের প্রার্থী হতে পারেন শুভ্রাংশু রায়? বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র টিকিটে লড়ে বীজপুরে পরাজিত হয়েছেন। পিতা মুকুল জিতেছেন কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়কপদটি ছেড়ে দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগর উত্তরের আসনটি ফাঁকা হবে। সেখানে উপনির্বাচন হবে ছ’মাসের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের আরও কয়েকটি আসনের সঙ্গেই মুকুলের ছেড়ে দেওয়া কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী করা হতে পারে তাঁর পুত্র শুভ্রাংশুকে (Subhranshu Roy)। এমন সম্ভাবনা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষে এখনই কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। কিন্তু একান্ত আলোচনায় সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, শুভ্রাংশুর বীজপুরে পরাজয়ের পিছনে বিজেপি-রই একটি অংশের হাত রয়েছে বলেও মনে করেন মুকুল অনুগামীরা। সরাসরি কেউ নাম না বললেও বরাবর মুকুল-বিরোধী বলে পরিচিত ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকে কাঠগড়ায় তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অর্জুনের ‘হাত’ না থাকলে শুভ্রাংশু বীজপুরে হারতেন না। তবে সে সব বিতর্ক ভুলে এখন মুকুল-অনুগামীদের চিন্তা তৃণমূলে যোগদানের পরে শুভ্রাংশুর পরবর্তী প্রাপ্তি কী হতে পারে।
শুভ্রাংশুকে শুধু বিধানসভায় ফিরিয়ে আনাই নয়, দলীয় সংগঠনেও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি তৃণমূল দল ও শাখা সংগঠনের দায়িত্বে বেশ কিছু রদবদল হয়েছে। রাজ্য যুব সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময়ে যে পদে ছিলেন মুকুল। অভিষেকের জায়গায় যুবর দায়িত্বে এসেছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তৃণমূল সূত্রের খবর, শুভ্রাংশুকেও যুব সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, এখনই না হলেও আগামী দিনে যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে শুভ্রাংশুকে। তবে দলের এক নেতা শুক্রবার বলেন, ‘‘এ সবই সম্ভাবনা। সবই ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের দায়িত্ব বা বিধনসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করা সবই তাঁর হাতে। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’