ত্রাণের সঙ্গেই প্লাস্টিক দূষণ সুন্দরবনে, ক্ষুব্ধ পরিবেশবিদরা
ত্রাণ বিলির সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা প্লাস্টিকে ঢেকেছে। ছড়াচ্ছে দূষণও। এখানকার প্রকৃতিকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে তাই কাজে নেমে পড়লেন পুলিস, ব্লক প্রশাসনের কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নির্মল বাংলা ব্যানারে এই অভিযান শুরু হয়েছে সুন্দরবনের (Sundarbans) বিভিন্ন ব্লকে।
ভরা কোটালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গোসাবা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটতেই ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছিল একের পর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কিন্তু যতদিন এগিয়েছে, ততই প্লাস্টিক, বোতল ইত্যাদির মাধ্যমে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। প্রশাসনের আশঙ্কা এসব নদীতে মিশে গেলে সুন্দরবনের বাস্তু ক্ষতি হতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রশাসনিক স্তর থেকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা প্লাস্টিক, থার্মোকলের প্লেট, বোতল ইত্যাদি সংগ্রহ করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র নিজেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্লাস্টিক কুড়িয়ে বস্তাবন্দি করছেন। তাঁর সঙ্গ দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাও। খাল-বিলে বা জমা জলে আটকে থাকা এসব প্লাস্টিক সংগ্রহ করছেন গ্রামবাসীরাও। কোথাও জলাশয়ের মাঝে ভেসে বেড়াতে দেখা গিয়েছে এই সব দ্রব্যকে। লাঠি দিয়ে টেনে আনা হচ্ছে সেগুলি। নদী-নালা কিংবা পুকুর থেকে প্লাস্টিক সরিয়ে সেখানে চুন ছড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।
বারুইপুর পুলিস জেলার পক্ষ থেকে ১৫ দিনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের ন’টি দ্বীপ থেকে প্লাস্টিক সাফাই অভিযান শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তার জন্য পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার ছুটির দিন হলেও কুলতলি, কাকদ্বীপ ইত্যাদি এলাকায় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জোর কদমে চলেছে প্লাস্টিক সাফাই অভিযান। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য সুন্দরবনের প্রতিটি ব্লকে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন।